• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সূর্যের চেয়ে ৩০ বিলিয়ন গুণ বড় কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৩, ১০:৪৫ এএম
সূর্যের চেয়ে ৩০ বিলিয়ন গুণ বড় কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান

মহাবিশ্বে মানুষের আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরের (ব্ল্যাক হোল) একটির সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাজ্যের ডারহাম ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এটি সূর্যের চেয়েও ৩০ বিলিয়ন গুণ বড়। নতুন একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষ্ণগহ্বরটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এই বিজ্ঞানীরা।

যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। দেশটির রয়্যাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জার্নাল ‘মান্থলি নোটিসেস’ প্রকাশিত এক নিবন্ধে ডারহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকদের এই কাজের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করে এ কৃষ্ণগহ্বরের আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে। প্রথমবারের মতো একটি কৃষ্ণগহ্বর এভাবে দেখা গেছে। যখন একটি ফোরগ্রাউন্ড গ্যালাক্সি দূরবর্তী বস্তু থেকে আলোকে বাঁকিয়ে এটিকে বড় করে তখন এর দেখা পাওয়া যায়।

কৃষ্ণগহ্বর গ্রাভিটির শক্তিশালী উত্স হিসেবে কাজ করে। ধুলো ও গ্যাসের চারপাশে ঘোরাফেরা করে। এতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এত বেশি যে আলোও এর মধ্যে থেকে বের হতে পারে না।

গবেষণাদলের প্রধান ড. জেমস নাইটিঙ্গ্যাল বলেন, “বিশেষ এই কৃষ্ণগহ্বরটি আমাদের সূর্যের চেয়ে প্রায় ৩০ বিলিয়ন গুণ বড়। এটি এখন পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া সবচেয়ে বড় কৃষ্ণগহ্বরগুলোর মধ্যে একটি। এর আকার যে এতই বড় তা বুঝে উঠতেও বেগ পেতে হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যে সব বড় কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে জানি তার বেশিরভাগই সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে।কৃষ্ণগহ্বরের দিকে আকর্ষণ করা বস্তুগুলো উত্তপ্ত হয়ে আলো, এক্স-রে এবং অন্যান্য বিকিরণের আকারে শক্তি প্রদর্শন করে। ওই জ্যোতিষ্ক থেকে কিছুই বেরিয়ে আসতে পারে না।”

Link copied!