ভারতের আবহাওয়া বিভাগের সতর্কতা জারির পরদিনই নয়নাভিরাম দার্জিলিংয়ের ভয়াবহ রূপ দেখলেন পর্যটকরা। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পর পশ্চিমবঙ্গের পাহাড়ে ঘেরা এই পর্যটন শহরে শুরু হয়েছে ধস।
পাহাড়ে বহু জায়গায় ধসের কারণে দার্জিলিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক সড়ক। এমনকি বন্ধ হয়ে গেছে জাতীয় মহাসড়কের গাড়ি চলাচল।
আনন্দবাজার জানায়, টানা বৃষ্টিতে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কটি ধসে পড়েছে। বিকল্প হিসেবে রোহিণী রোড ধরে গাড়ি চলাচল করছে।
এছাড়াও তিস্তা নদীর আকস্মিক বন্যায় প্লাবিত হয়েছে ত্রিবেণীর নিকটবর্তী সড়কগুলো। স্থানীয়দের তোলা ছবিতে রাস্তায় বড় বড় ফাটলও দেখা যায়। বেশ কিছু বাড়িঘরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়াও শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বালাসন সেতুও পাহাড়ি ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুর উপর যান চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের এই মুহূর্তে এলাকা ছাড়তে নিষেধ করছে জেলা প্রশাসন। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে আরও অনেক জায়গায় ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে কোচবিহার ছাড়াও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাই পাহাড়ে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারে বিশেষ বাস চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরবঙ্গের রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা।
দার্জিলিং, কালিম্পং, গ্যাংটক, মিরিক, লাভা, লোলেগাঁওতে অনেক পর্যটক আটকে রয়েছেন। পাহাড় ধসের পর শুধু রোহিণী হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার সড়কপথ খোলা রয়েছে।
তাই পর্যটকদের কলকাতা ফিরতে শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে থেকে বিশেষ বাস ধরতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বুধবারও (২০ অক্টোবর) ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।