বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জাপানের রাজকন্যা মাকো। তবে বিয়ের চাইতে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে রাজপরিবারের প্রথা ভেঙে প্রাসাদ ছাড়ার ঘটনা।
২০১৭ সালে সাবেক সহপাঠী কেই কোমুরোর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেন মাকো। তবে প্রথা অনুযায়ী রাজপরিবারের বাইরের কাউকে বিয়ে করায় রাজকুমারীর পদমর্যাদা হারান তিনি। রাজপ্রাসাদ ছেড়ে আসায় ১০ লাখ ডলার ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলে সেটিও নাকচ করেন তিনি।
বিবিসি জানায়, ২০১২ সালে কেই কোমুরোর সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় রাজকুমারী মাকোর। সেসময় বিদেশে পড়াশোনার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের এক সভায় যোগ দিচ্ছিলেন তারা। টোকিওর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিস্টিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনারত অবস্থায় প্রেমে পড়েন তারা।
২০১৭ সালে বিয়ে করার কথা থাকলেও কোমুরোর মায়ের বিরুদ্ধে তার সাবেক বাগদত্তা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনলে বিয়ে দফা পেছায় তাদের। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে কোমুরো দাবি করেন সেই টাকা তাদের উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সেই ব্যক্তি।
যদিও সেই অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কোমুরো। তবে জাপানি সংবাদমাধ্যমগুলোর নেতিবাচক খবরে অস্বস্তিতে পড়েন এই যুগল। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তারা পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে।
কয়েক দফা বিয়ের তারিখ পেছানোর পর অবশেষে সেপ্টেম্বরে জাপানে ফিরেন তারা। দেশে ফিরেই ২৬ অক্টোবর বিয়ে করেন মাকো-কোমুরো। তবে রাজপ্রাসাদের বাইরে এই বিয়েতে ছিল না তেমন কোন আড়ম্বর।
বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটিতে স্থায়ী হবেন নবদম্পতি। কোমুরো সেখানে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।
অনেকেই তাদের এই বিয়েকে ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্যারি ও মেগান মারকেলের বিয়ের সঙ্গে তুলনা করছেন। কেননা এর আগে মেগানের জন্যেো প্রাসাদ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি জমিয়েছিলেন হ্যারি।