চিকিৎসাশাস্ত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে শুরু হলো এবারের নোবেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এ বছর যৌথভাবে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল জিতেছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস ও আর্ডেম প্যাটাপুতিয়ান।
সিএনএন জানায়, মানবদেহে তাপমাত্রা ও স্পর্শ অনুভব করার জন্য ব্যবহৃত বিশেষ অঙ্গ বা রিসেপ্টর আবিষ্কারের জন্য এবার ফিজিওলজি ও মেডিসিনে বিভাগে নোবেল দেওয়া হয়। রিসেপ্টর বা সংবেদনশীল কোষের মাধ্যমে মানুষ কীভাবে তাপমাত্রা ও চাপ অনুভব করে, তাই আবিষ্কার করেছেন দুই বিজ্ঞানী।
এক বিবৃতিতে জুলিয়াস ও প্যাটাপুতিয়ানের প্রশংসা করে নোবেল কর্তৃপক্ষ জানায়, “বেঁচে থাকার জন্য তাপ, ঠান্ডা এবং স্পর্শ অনুভব করাটা অপরিহার্য ব্যাপার। চারপাশের পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতেও এই অনুভূতি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।”
এছাড়া বিবৃতিতে তাদের এই উদ্ভাবনের পেছনের গল্পও জানিয়েছে নোবেল কমিটি। পরীক্ষাগারে মরিচের বিশেষ উপাদান ক্যাপসাইসিন ব্যবহার করে মানুষের ত্বকে তাপ তথা গরম লাগার মতো অনুভূতি সৃষ্টি করেছেন ডেভিড জুলিয়াস। এই প্রক্রিয়ায় মানবদেহে তাপের প্রতি সাড়াদানকারী রিসেপ্টর শনাক্ত করেন তিনি।
আর্ডেম পটাপৌটিয়ান চাপের প্রতি সংবেদনশীল কোষ ব্যবহার করে আরেকটি অভিনব রিসেপ্টর আবিষ্কার করে। এটি চাপ অনুভব করে আমাদের ত্বক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে উদ্দীপনার সৃষ্টি করে।
এক টুইটে নোবেল কর্তৃপক্ষ জানায়, টিআরপিভি রিসেপ্টর শরীরের প্রদাহ, স্নায়বিক যন্ত্রণা ও অন্যান্য ব্যথা শনাক্ত ও চিকিৎসায় ভূমিকা রাখবে। এছাড়া পিআইইজেড০২ রিসেপ্টর রক্তচাপ, প্রস্রাব ও হাড়সংক্রান্ত রোগ নির্ণয় ও উপশমে ভূমিকা রাখতে পারে।
মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হচ্ছে। পুরস্কারজয়ীরা নিজ নিজ দেশ থেকেই পুরস্কার গ্রহণ করবেন।