আরও বাড়তে পারে ভারতের ওপর শুল্ক। শুল্ক আরও বাড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। স্থানীয় সময় বুধবার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই বার্তা দেন। এ সময় এই মন্ত্রী বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বৈঠকের ওপর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার বৈঠকে নেতিবাচক সমাধান এলে ভারতের ওপর আরেক দফা শুল্ক বাড়তে পারে বলে জানান এই মন্ত্রী। সাক্ষাৎকারে বেসেন্ট বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ইতিমধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো শুল্ক আরোপ করেছি। কিন্তু যদি পরিস্থিতি ঠিকঠাক না হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরেক দফা বাড়তে পারে।’
রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে সম্প্রতি একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ জন্য নিজেদের সেই অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে ভারতকে দেওয়া ২১ দিনের সময়সীমা এখনো শেষ হয়নি। এর আগে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর জন্য ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন ট্রাম্প। এর ফলে আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।
এ ছাড়া এ নিয়ে পৃথক এক বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী। ফক্স নিউজকে দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাণিজ্য আলোচনায় ভারত অবাধ্য একটা দেশ। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার দুই দেশের মধ্যেই সমঝোতা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে নমনীয়তা দেখা যায়নি।
এই সমঝোতা আলোচনা চলতি মাসেই আবার শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২৫ আগস্ট ভারতে আসছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল। বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকরের আরও ২ দিন বাকি থাকবে তখন। ওই সময় আলোচনায় কোনো ইতিবাচক ফল আসতে পারে বলে আশা করছেন ভারতীয়রা। তবে এ ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসন থেকে বার্তা স্পষ্ট, আগে রাশয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে, এরপর আলোচনার টেবিলে বসবে তারা।
ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে ১৫ আগস্ট (শুক্রবার) আলাস্কায় বৈঠক করবেন ট্রাম্প ও পুতিন। তবে তাতে আরও কিছু ইস্যু উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হলে, সেটি হবে ভারতের জন্য ইতিবাচক বার্তা। তবে পুতিন ও ট্রাম্প এতে রাজি হবেন কিনা, সেই সমাধানে জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা সায় দেবেন কি না, এসব ব্যাপারও রয়েছে।