• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেজুরের যত পুষ্টিগুণ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৩, ০৫:০০ পিএম
খেজুরের যত পুষ্টিগুণ

পুষ্টিগুণের সঙ্গে সঙ্গে খেজুর থেকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শক্তিশালী ভুমিকা রাখে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের কোষকে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে। খেজুর থেকে মূলত তিনটি প্রধান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় সেগুলো হলো- ফ্ল্যাভনয়েডস, ক্যারটেনয়েডস ও ফেনলিক অ্যাসিড। চলুন জেনে নেব খেজুরের আরও পুষ্টিগুণ-

পেটের অসুখ সারাতে 
প্রচুর ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্ক সমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদার প্রায় ১১ ভাগই পূরণ করে। প্রতিদিন সকালে ৩-৪ টি খেজুর খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত যারা কোনো ধরণের পেটের রোগে ভুগছেন তাদের জন্য তো এই ফলটি বিশেষ উপকারী ।

ওজন কম রাখা
যারা নিয়মিত খেজুর খান, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়ে, তেমনি ওজন বাড়তি হওয়া থেকেও রক্ষা করে। তাই খেজুরকে খাদ্যতালিকায় রাখার কথা বলেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদেরকে ওজন কম রাখতে বলেন ডাক্তাররা, সেক্ষেত্রে শুকনো খেজুর পরিমাণমতো খেলে ওজন কমবে।

চিনির বিকল্প
খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুরকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। চারটি খেজুর বা ৩০গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। প্রচুর ভিটামিন বি, থাকার কারণে মস্তিষ্কের কার্যক্রম বৃদ্ধি করে ।

মানসিক চাপ কমিয়ে আনে
মানসিক চাপ ও হতাশার কারণে মাথা ব্যথা হলে তা দূর করে খেজুর। খেজুরে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস ও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, যা স্ট্রেস দূর করতে সহায়ক। এছাড়া খেজুরে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড ও ট্রিপটোফেন, যা সিরোটোনিন হরমোন তৈরিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই মিষ্টি ফল মনে আনন্দের অনুভূতি ছড়িয়ে দেয় ।

আয়রনের জোগান দেয়
এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতায় যারা ভুগছেন, তারা প্রতিদিন খেজুর খেতে পারেন। একজন সুস্থ মানুষের শরীরে যতটুকু আয়রন প্রয়োজন, তার প্রায় ১১ ভাগ পূরণ করে খেজুর। তাছাড়া ভিটামিন ‘কে’-তে ভরপুর খেজুর। ভিটামিন ‘কে’ হাড়কে মজবুত রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে ।

কাশি ও কোষ্ঠকাঠিন্য 
যাদের খুসখুসে কাশি হয় তারা ২০-২৫ গ্রাম খেজুর, ২ কাপ গরম পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওই খেজুর চটকে নিয়ে সরবতের মতো করে খেলে উপকার পাবেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় রাতে পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খেজুর ভেজানো পানি পান করুন।

Link copied!