ওজন কমাতে ক্যালরি বার্ন করতে হয়। যা দ্রুত কাজ হয় ব্যায়ামের মাধ্যমে। কিন্তু ব্যায়াম শুরু করেও যেন ক্যালরি বার্নে সময় লেগে যাচ্ছে। কারণ সঠিক ব্যায়াম করা হচ্ছে না। কিছু ব্যায়াম আছে যা ক্যালরি বার্নে দ্রুত কাজ করে। এসব ব্যায়ামকে বলা হয়, এইচআইআইটি (হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং)। চলুন জেনে নিই, কোন ব্যায়ামে দ্রুত ক্যালরি বার্ন হবে এবং ওজন কমে যাবে।
জাম্পিং জ্যাকস
ব্যায়ামের ওয়ার্মআপ হিসেবে জাম্পিং জ্যাকস করা যেতে পারে। জাম্পিং জ্যাকস প্রতি মিনিটে ৮ থেকে ১১ দশমিক ৮ পর্যন্ত ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। হাত-পা একসঙ্গে ছড়িয়ে লাফানো হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন পেশি কাজ করে।
দড়িলাফ
দড়িলাফে প্রতি মিনিটে প্রায় ৭ দশমিক ৬ থেকে ৯ দশমিক ৮ ক্যালরি পোড়ে। এটি পায়ের পাশাপাশি হাত, কাঁধ ও কোমরের পেশিগুলোও সক্রিয় রাখে।
সাঁতার
নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারেন। এতে আধা ঘণ্টায় ১৯৮ থেকে ২৯৪ ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব। সাঁতারে পেশি, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়বে।
হাই নি রানিং
হাই নি রানিংয়ে সময় হাঁটু যত দূর সম্ভব উঁচু করে দৌড়াতে হয়। এতে প্রতি মিনিটে ৩ দশমিক ৫ থেকে ৭ ক্যালরি পর্যন্ত পোড়ানো সম্ভব। এটি পায়ের পেশি ও কোমরের শক্তি বাড়ায়।
বাট কিকস
বাট কিকস ব্যায়ামে দৌড়ানোর মতো করে এক পা এমনভাবে পেছনে তোলা হয়, যেন পায়ের গোড়ালি শরীরের পশ্চাৎভাগে আঘাত করছে। এই ব্যায়াম মিনিটে ৮ থেকে ১২ ক্যালরি পোড়ায়। এটি হাঁটু ও উরুর পেছনের পেশিকে শক্তিশালী করে।
মাউন্টেন ক্লাইম্বার
মাউন্টেন ক্লাইম্বারে শরীরের প্রায় প্রতিটি পেশি কাজ করে। প্ল্যাঙ্ক করা অবস্থানে থেকে এক পা করে দ্রুতগতিতে বুকে টেনে আনতে হয়। এই ব্যায়ামে প্রতি মিনিটে ৭ থেকে ১২ ক্যালরি পর্যন্ত পোড়ায়।
স্টেশনারি সাইক্লিং
স্টেশনারি সাইক্লিং ব্যায়ামে আধা ঘণ্টা করলেই ২১০ থেকে ৩১১ ক্যালরি পোড়ানো যায়। এতে হাঁটুর উপর চাপও পড়ে না। পায়ের পেশি মজবুত হয়।
সূত্র: হেলথলাইন