আমরা অনেকেই জানি, অ্যালার্জির কারণে বঞ্চিত হতে হয় অনেক পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাবার থেকে। এমন একটি উপায় রয়েছে আপনাকে আর তালিকা থেকে খাবার বাদ দিতে হবে না। যে খাবারগুলো বাদ দিতে হয়, তার বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন কিছু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
নারিকেল দুধ
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স কিন্তু দুধ আপনাকে খেতেই হবে। এক্ষেত্রে নারিকেল দুধ বিকল্প খাবার হিসেবে খেতে পারেন। দুধের তৈরি যেসব খাবার আপনাকে অ্যালার্জির কারণে বাদ দিতে হয়েছিল, সেগুলো তৈরির ক্ষেত্রে গরুর দুধের বদলে নারিকেল দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
চিনাবাদামের বিকল্প
চিনাবাদামের অ্যালার্জির কারণে ফুসকুড়ি এবং খিঁচুনি হতে পারে। চিনাবাদামের বদলে আমন্ড বা টোস্টেড ওটস ব্যবহার করুন যা পুষ্টিকর এবং হৃদযন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর।
ময়দার বিকল্প
গমের গ্লুটেন বদহজম এবং ফুসকুড়ি বাড়াতে পারে। গমের ময়দার পরিবর্তে নারিকেল, বাদাম বা ওট ময়দা ব্যবহার করতে পারেন। কর্ন স্টার্চ এবং চালের গুঁড়াও কার্যকরী বিকল্প।
ডিম ছাড়া বেকিং
ডিমে অ্যালার্জি থাকলে বেকড পণ্য তৈরিতে অন্য কোনো বিকল্প খুঁজতে হবে। কুকিজ, মাফিন এবং কেক তৈরির ক্ষেত্রে ডিম না দিয়ে বেকিং পাউডার, ম্যাশ করা কলা বা আপেলের পিউরি ব্যবহার করুন।
সামুদ্রিক খাবারের বিকল্প
অনেকের সী-ফুডে অ্যালার্জি থাকতে পারে। আর সী-ফুডে অ্যালার্জি মানে ওমেগা-৩ তেল এবং প্রোটিন থেকে বঞ্চিত হওয়া। ফ্ল্যাক্সসিড তেল, বাদাম, বীজ, মসুর ডাল এবং মুরগির মাংস খেতে পারেন এর পুষ্টিকর বিকল্প হিসেবে।