গিরায় সংক্রমণ বা সেপটিক আর্থ্রাইটিস একটি সংক্রমণজনিত রোগ। সাধারণত দুই থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের হয়ে থাকে রোগটি। দ্রুত চিকিৎসা করাতে না পারলে বিভিন্ন জটিলতায় শিশু আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত রক্তে বা হাড়ে বিদ্যমান জীবাণু গিরায় প্রবেশ করলে বা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাসের তো বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণে এ রোগ হয়ে থাকে। তবে শিশুদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল থাকলে গিরায় সংক্রমণ হয়।
উপসর্গ
- গিরায় প্রচণ্ড ব্যথা
- ব্যথার কারণে খুঁড়িয়ে হাঁটা
- আক্রান্ত গিরা ফুলে লাল হয়ে যাওয়া
- গিরার তাপমাত্রা বেড়ে যায়
- জ্বর
- নবজাতকের ক্ষেত্রে অনেক সময় এসব লক্ষণ না-ও থাকতে পারে। তবে দেখা যায়, নবজাতক আক্রান্ত হলে হাত বা পায়ের নড়াচড়া কমে যায়।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
রক্তের পরীক্ষা, যেমন রক্তকণিকার পরিমাণ, ইএসআর, সিআরপি, রক্তের কালচার পরীক্ষা করে এ রোগের ধারণা পাওয়া যায়। তবে গিরায় পানি থাকলে সে পানি নিয়ে পরীক্ষা করলেও এ রোগ প্রমাণ করা যায়। এ ছাড়া এক্স-রে ও আলট্রাসনোগ্রাম করেও রোগটি শনাক্ত করা যায়।
উপরের লক্ষণগুলো শিশুর মধ্যে প্রকাশ পেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হতে হবে। নয়ত আক্রান্ত গিরার কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া সহ শিশুর পা ছোট-বড় হতে পারে। এছাড়াও আরও অনেক ধরণের সমস্যায় পড়তে পারে। তাই দ্রত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ রোগের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।








































