• ঢাকা
  • বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩০, ১৩ শা'বান ১৪৪৬

নারীদের মুডসুইং জটিলতা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম
নারীদের মুডসুইং জটিলতা

‘মুড সুইং’ বিশেষ একটি মনস্তাত্ত্বিক পর্যায়। কোনো কারণ ছাড়াই মন-মেজাজ পরিবর্তন হওয়াই মুড সুইং। মানসিক স্বাস্থ্যের বিপর্যয়েই এটি বেশি হয়। তবে নারীদের হরমোনের ভারসাম্যহীনার কারণেও মুড সুইং বেশি হয়।

হঠাৎ মন খারাপ, রাগ হওয়া, কান্না পাওয়া আবার চট করেই মন উৎফুল্ল হয়ে যাওয়া  মুড সুইংয়ে এমন প্রবণতা দেখা যায়। নারীদের আচারণগত এই পরিবর্তন আমরা খুব স্বাভাবিক ভাবে দেখে থাকি। এটি নারী স্বাস্থ্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক। কাজেই এতে অবহেলার কোনো উপায় নেই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও এটিকে যত্নের সঙ্গেই দেখা হয়।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মেয়েদের মুড সুইং বা মেজাজ পরিবর্তন একটি নির্দিষ্ট চক্রের মধ্যেই পরিবর্তন হয়। বিশেষ করে মেয়েদের মাসিক চক্রে হরমোনাল পরিবর্তনগুলো বেশি আসে। যা মুড সুইংয়ের জন্য দায়ী। গর্ভবতী মায়ের ক্ষেত্রেও সময় অনুযায়ী হরমোন পরিবর্তনের প্রভাবে মুড সুইং হয়ে থাকে। মুড সুইংয়ে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে_

  • নারীদের মাসিকের সময় শরীর থেকে প্রচুর আয়রন ক্ষয় হয়। পরে তা পূরণ না করায় ধীরে ধীরে ‘মুড সুইং’-এর দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দেখা দিতে পারে। 
  • জীবনযাত্রা, কাজের চাপ, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারনেও ‘মুড সুইং’ হয়ে থাকে।
  • বয়োঃসান্ধিকালে ছেলে-মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়। এই সময়ে দেহে হরমোনেরও পরিবর্তন ঘটে। তাই এই সময়ে ছেলে-মেয়েরা অনেক বেশি আবেগপ্রবণ থাকে। এসময় তাদের প্রচন্ড মুড সুইং হয়।
  • গর্ভকালীন মায়ের শারীরিক পরিবর্তন তার মনের ওপরে প্রভাব ফেলে। যার কারনে নতুন মায়েদের মেজাজে প্রচন্ড তারতম্য হয়।
  • ‘মুড সুইং’ সম্পূর্ণ হরমোনের ওপর নির্ভর করে। হরমোনের ওঠা নামার কারণেই মানসিক অবস্থার পরিবর্তন হয়, যার প্রকাশ ঘটে ব্যক্তির আচারণে।
  • পুষ্টিহীনতা, লৌহ, ভিটামিন ও খনিজের অভাবে মেজাজের দ্রুত ওঠা-নামা হয়।

মুড সুইং বা আচারণের এই অনিয়ন্ত্রিত পরিবর্তনকে নিয়ন্ত্রণে কিছু অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন_

  • নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনে চলুন। কাজগুলো ভাগ করে নিন। যথাসময়ে কাজ শেষ করুন। সেই সঙ্গে বিশ্রামও যথাসময়ে নিন।
  • ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। নিয়মিত ব্যায়ামে মানসিক চাপ কমে। তাই অযথা রেগে যাওয়া বা অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘুম হলে মানুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে। ফলে কোনও ঝামেলা হয় না।
  • পুষ্টিসমৃদ্ধ সুষম খাবার খান। শরীরে ভিটামিন বি -১২-এর ঘাটতিতে মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে মুড সুইং প্রবণতাও বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ভিটামিনযুক্ত খাবার খাবেন।  
  • যোগ ব্যায়াম বা ইয়োগা করুন। নিয়মিত যোগ ব্যায়ামে নিজের মন মেজাজে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। 
  • গুটিয়ে না থেকে নিজেকে প্রকাশ করুন। নিজের অনুভূতি চেপে রাখবেন না। এতে মানসিক চাপ বাড়ে।
  • নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের ভালো লাগে এমন কাজগুলো করুন।
  • আপনজনের সঙ্গে নিজের অনুভূতির শেয়ার করুন। আপনাকে হতাশায় বা বিষন্নতায় পড়তে হবে না।
  • নিজের যত্ন নিন। ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করুন নিয়মিত। নিজেকে সুন্দর রাখলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
  • গান শুনুন। এতে মন প্রফুল্ল থাকবে। 
  • একাকিত্ব জীবন থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের মাস্তষ্ককে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন।
Link copied!