বাজারে ভোজ্য তেল ও পেঁয়াজের দাম বাড়তি হলেও স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে পোলট্রি খাত। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে মুরগির ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা গেছে। বর্তমানে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০০ টাকায়, আর ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে ডিম ও মুরগির দাম কমতি রয়েছে। স্বস্তির খবর পেলেন সাধারণ ভোক্তারা। পোলট্রি খাতে বড় ধরনের দরপতনের ফলে মুরগির ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় এবং ব্রয়লার মুরগি কেজিপ্রতি ১৫০-১৬০ টাকায়-যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর শনিরআখড়া, সাইনবোর্ড ও চিটাগংরোড সংলগ্ন এলাকার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যেখানে ডিমের ডজন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা এবং ব্রয়লার ২০০ টাকার কাছাকাছি ছিল, সেখানে হঠাৎ এমন দরপতনে স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
শনিরআখড়া বাজারের ডিম ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খামার থেকে ডিম এখন কম দামে আসছে। সরবরাহ বেশি হওয়ায় আমাদেরও কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিম বিক্রি হলেও দাম বেশি থাকায় অনেক ক্রেতা কিনতে চাইতেন না। এখন দাম কমায় বিক্রি বেড়েছে।’
একই বাজারের এক ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা বলেন, ‘খামারে মুরগির উৎপাদন বেড়েছে। চাহিদা স্বাভাবিক থাকলেও জোগান বেশি হওয়ায় দাম নামতে বাধ্য হয়েছে।’
দাম কমায় খুশি সাধারণ মানুষ। যাত্রাবাড়ীর এক গৃহিণী বলেন, ‘পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ডিম আর মুরগিই ভরসা। এতদিন বেশি দামের কারণে হিসাব করে কিনতে হতো। এখন একটু স্বস্তি পাচ্ছি।’
একজন চাকরিজীবী ক্রেতা জানান, বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়লেও অন্তত ডিম-মুরগির দাম কমেছে- এটাই বড় কথা।
পোলট্রি খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কয়েকটি কারণে দাম কমেছে- আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খামারে উৎপাদন বেড়েছে। মুরগির খাদ্য ও পরিবহন ব্যয় তুলনামূলক কমেছে। বাজারে সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি।
তবে তারা সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে দাম খুব কম থাকলে খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন, যা ভবিষ্যতে আবার দাম বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোক্তা ও খামারি—উভয়ের স্বার্থ রক্ষায় ডিম ও মুরগির দামে একটি ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। বাজার তদারকি জোরদার করা গেলে অযৌক্তিক মূল্য ওঠানামা কমানো সম্ভব।






























