শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান মাদক-কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর অনেকে এর পেছনে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছিলেন। তবে বোম্বের উচ্চআদালত থেকে জানানো হয়েছে, আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আদালত আরো জানিয়েছে—আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার বিরুদ্ধে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আনা মাদক পাওয়া যাওয়ার সদর্থক প্রমাণ নেই। আদালত জানিয়েছে, তিন অভিযুক্তের কাছে মাদক পাওয়া গিয়েছিল মানেই তাদের কোনো অপরাধমূলক কাজের ইচ্ছে ছিল অথবা তারা বেআইনি কোনো কাজ করেছেন, এমনটা বলা যায় না।
আরিয়ানদের কাছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য মাদক ছিল বলে জানিয়েছে আদালত। আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেও তিনি ষড়যন্ত্র করেছিলেন, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত তিনজন একই প্রমোদতরীতে ছিলেন। কিন্তু তা থেকে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ পাওয়া যায় না। আদালত এ দিন আরো জানিয়েছে, পুলিশের নেওয়া জবানবন্দি তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার করা হবে।
আরিয়ানের গ্রেপ্তারের কিছুদিন পরেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন এনসিবির সাক্ষী প্রভাকর সেইল। তিনি দাবি করেছিলেন, সমীর ওয়াংখেড়ে তাকে দিয়ে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। তাকে যে মাদক মামলায় সাক্ষী হিসাবে পেশ করা হবে, সে বিষয়ে তিনি জানতেনই না। একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন, এনসিবির হেফাজত থেকে আরিয়ান খানকে মুক্তি দিতে শাহরুখ খানের ম্যানেজার পুজা দাদলানির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। পরে তা ১৮ কোটি টাকায় রফা হয়। এরমধ্যে ৮ কোটি টাকাই এনসিবির জোনাল অফিসার সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা ছিল।
পুজা দাদলানির কাছ থেকে টাকা আদায়ের কাজ করছিলেন কিরণ গোসাভি নামক এক ব্যক্তি। প্রভাকর সেইল তারই দেহরক্ষী ছিলেন। কিরণ গোসাভির সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করছিলেন স্যাম ডি’সুজা নামক অপর এক ব্যক্তি। তিনিই গোসাভি ও পুজা দাদলানির মধ্যে দেখা করিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন প্রভাকর সেইল।
অন্যদিকে স্যাম ডি’সুজার দাবি, কিরণ গোসাভি একাধিক মিথ্যা কথা বলেছে। নিজের দেহরক্ষী প্রভাকর সেইলের নম্বরও সে ফোনে সমীর ওয়াংখেড়ে নামে সেভ করেছিল সকলকে ভুল পথে চালিত করতে। নিজের গাড়িতে এনসিবির স্টিকারও লাগিয়েছিল গোসাভি, এমনটাই দাবি স্যামের।