শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেওয়ার এক দিন পর গতকাল সোমবার সকালে ফেসবুকে ‘আমার অফিশিয়াল বিবৃতি’ নামে একটি পোস্ট দেন মেহজাবীন চৌধুরী। সেই পোস্টে বাদী আমিরুল ইসলামের অভিযোগের বিষয়ে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন অভিনেত্রী। পোস্টে মেহজাবীন চৌধুরী লিখেছেন, ‘একজন অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। গত ৯ মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি। কারণ, অভিযোগকারী ব্যক্তি পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি।’
মামলার বাদী আমিরুল ইসলামের অভিযোগ প্রসঙ্গে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘অভিযোগকারীর দাবি, ২০১৬ সাল থেকে তিনি আমার সঙ্গে ব্যবসা করছিলেন। কিন্তু এ ঘটনার কোনো প্রমাণ দিতে পারেন নাই তিনি। ২০১৬ সাল থেকে আমাকে ফেসবুকে মেসেজ দিতেন, সেটাও তিনি দেখাতে পারেননি। মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ বা আমার নম্বরেও কোনো কিছু আসেনি। একটি স্ক্রিনশটও তিনি দেখাতে পারেননি।’
বাদী দাবি করেছেন, তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মেহজাবীনকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন, কীভাবে দিলেন? ব্যাংক লেনদেন, কোনো চেক, বিকাশ লেনদেন, কোনো লিখিত চুক্তি, কোনো রসিদ, কোনো সাক্ষী, কিছুই না। একটি কাগজপত্রও তিনি দেখাতে পারেননি।’
মেহজাবীন তাঁর পোস্টে লিখেছেন, বাদী দাবি করেছেন, গত ১১ ফেব্রুয়ারি এই অভিনেত্রী তাঁকে চোখ বেঁধে হাতিরঝিল এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট ভাইসহ আরও চার থেকে পাঁচজন। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘এ ঘটনার প্রমাণ তিনি দেখাতে পারেননি। রেস্টুরেন্ট বা আশপাশের রাস্তার এক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ, কোনো সাক্ষী, কোনো প্রমাণ, কিছুই না। হাতিরঝিল ঢাকার সবচেয়ে বেশি সিসিটিভি–নিয়ন্ত্রিত এলাকা, তবু তিনি একটি ছবি বা ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেননি।’
অভিযোগকারী বলেছিলেন, তিনি মেহজাবীনদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। এই নিয়ে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘গত ৯ মাসে আমি কোনো নোটিশ পাইনি। কোনো পুলিশ স্টেশনের ফোনকল, কোনো কোর্টের নোটিশ বা ডকুমেন্ট কিছুই পাইনি। কোনো নোটিশ পেলে আমি অনেক আগে থেকেই আইনি ব্যবস্থা নিতাম। এই মামলার কোনো ভিত্তি না থাকলেও যখন জানতে পারলাম, অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে, তখন আমি আইনি প্রক্রিয়া মেনে জামিন নিয়েছি, কারণ, আমি আইন ও নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
সবশেষে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘সত্য খুব দ্রুতই আদালতে পরিষ্কার হয়ে যাবে। এখনকার দিনে কাউকে অপমান, মানহানি বা ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্যকে ব্যবহার করা খুবই সহজ হয়ে গেছে। এই ব্যক্তির যেই উদ্দেশ্যই থাকুক, আমার বা আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেন, তিনি যা-ই করতে চান—আমি বিশ্বাস করি সবকিছু খুব দ্রুতই পরিষ্কার হয়ে যাবে।


































