আবারও টলিউডের পর্দায় দেখা যাবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় ‘শিকড়’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। তবে এই দীর্ঘ বিরতির পেছনে রাজনৈতিক কোনো কারণ আছে কি না—এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। অবশেষে স্পষ্ট জবাব দিলেন চঞ্চল নিজেই।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি রাজনীতি কিংবা দেশ বুঝি না। আমি বাংলা ছবির শিল্পী। আমি ছবি করি বাংলার দর্শকদের জন্য।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার বিরতিটা একেবারেই স্বাভাবিক। আমি সব সময়ই বেছে কাজ করি। এটা কোনো পরিকল্পিত বিরতি নয়।’
বোলপুরের মোহনপুরে চলছে ‘শিকড়’ ছবির শুটিং। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি গল্প অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। কাঠফাটা রোদ, ৩১ ডিগ্রি তাপমাত্রা—সবকিছু উপেক্ষা করে ফতুয়া আর মুখভর্তি দাড়ি নিয়ে সাইকেলে ছুটছেন চঞ্চল, আর সেই দৃশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আর সোশ্যাল মিডিয়ায়।
চঞ্চলের ভাষায়, ‘গ্রাম আমাকে টানে। আমি নিজেও গ্রামের ছেলে। এখন ঢাকায় থাকি ঠিকই, কিন্তু মন তো পড়ে থাকে মেঠো পথেই। এই ছবিতে কাজ করতে গিয়ে বারবার আমার শৈশব চোখে ভেসে উঠছে।’
‘শিকড়’ ছবির গল্পে কেন্দ্রীয় গুরুত্ব পাচ্ছে এক বাবা-ছেলের সম্পর্ক। ছবিতে চঞ্চলের চরিত্রের বাবা ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত, যিনি ধীরে ধীরে সবকিছু ভুলে যাচ্ছেন।
এই প্রসঙ্গে চঞ্চল বলেন, ‘এই চরিত্রটা আমার কাছে খুব ব্যক্তিগত। কারণ, আমার নিজের বাবাও জীবনের শেষদিকে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। এই চরিত্রটা করতে গিয়ে অনেক অনুভূতি ফিরে আসছে।’
টলিউডে এই দীর্ঘ বিরতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে চঞ্চল চৌধুরী স্পষ্ট করে বলেন, তার কাছে ওপার-এপার বলে কিছু নেই। তিনি কাজ করেন বাংলাভাষী সব দর্শকের জন্য।
তার কথায়, ‘সারা পৃথিবীতে যারা বাংলা ছবি দেখেন, তাদের জন্যই তো আমরা কাজ করি। সেখানে দেশ কিংবা রাজনীতির কোনো স্থান নেই।’
তিনি আরও জানান, এপার বাংলা (বাংলাদেশ) ও ওপার বাংলায় (ভারত) একাধিক প্রজেক্ট নিয়ে আলোচনা চলছে—সিনেমা ও সিরিজ—উভয় ক্ষেত্রেই।