• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষক নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ


ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
শিক্ষক নিবন্ধনের গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রত্যাহারসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৮ ও ১৯তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- বৈষম্যমূলক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রত্যাহার করতে হবে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৮তম লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষক সংকট নিরসনে দ্রুত ১৮তম চূড়ান্ত ফলাফলের পর ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও অটো এমপিও চালু করতে হবে। এছাড়া ৩৫-এর অধিক বয়সী প্রার্থীদের সুযোগ না দেওয়ার দাবি জানান তারা।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে, ‘সারা বাংলায় খবর দে, বৈষম্যের কবর দে’, ‘১৮তমদের ব্যতিরেকে, গণবিজ্ঞপ্তি চলবে না চলবে না’, ‘মেধা ছাড়া শিক্ষক, অযোগ্য অযোগ্য’, ‘সেপ্টেম্বর রেজাল্ট দিন, নভেম্বরে নিয়োগ দিন’সহ বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড দেখা যায়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের প্রথম দাবি বৈষম্যমূলক শিক্ষক নিবন্ধনের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রস্তাব প্রত্যাহার করতেই হবে। আমরা যারা ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছি, আমাদের ফলাফল সেপ্টেম্বরের মধ্যে দিয়ে অতি দ্রুত নভেম্বরে নিয়োগ দিতে হবে। ১৮তম নিবন্ধনে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন, তাদের নিয়োগ দিয়ে ১৯তম নিবন্ধনের সার্কুলর দিতে হবে।”

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনধারীদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১ম থেকে ১২তম নিবন্ধনে যারা পরীক্ষা দিয়েছেন তাদের বয়স ৪০-৪৫। ৩৫+ দের কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হবে না। কয়েক বছর পরে তারা অবসরে চলে যাবেন। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির নামে যে বৈষম্য করা হচ্ছে তা মানা হবে না। সোনার বাংলাদেশে আবু সাঈদ ও মুগ্ধরা বৈষম্যের নিপাতের জন্য জীবন দিয়েছেন। এই দেশে যাতে কোনোরকম বৈষম্য না হয় তার জন্য সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।

Link copied!