• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সবকিছুর বিপরীতমুখী যাত্রা শুরু হয়’


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৭:০২ পিএম
‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সবকিছুর বিপরীতমুখী যাত্রা শুরু হয়’

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সবকিছুর বিপরীতমুখি যাত্রা শুরু হয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আর সোনার মানুষ গড়ে তোলার অপরিহার্য অনুষঙ্গ ছিল শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শেও ছিল শিক্ষা-দর্শন। ছয় দফার মধ্যেও শিক্ষার উন্নয়নের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ ছিল।”

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দীপু মনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন শিক্ষার বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। তাই স্বাধীনতার পরপরই তিনি নানামুখী কর্মকাণ্ডের মধ্যেও শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই আমরা পেয়েছিলাম কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন।”

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সরকার। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অন্যদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরাও পথিকৃতের ভূমিকা পালন করবে।”

স্মার্ট বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার দূরদৃষ্টিতে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন। সেই শিক্ষানীতি পুনপর্যালোচনা করে যুগোপযোগী করার কাজ শুরু হয়েছে।”

সময়ের চাহিদা পূরণে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জনেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তাদের পাঠ্যক্রম সেভাবে বিন্যাস করা প্রয়োজন উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। বর্তমান সরকার শিক্ষাধারায় ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং’ এ বিশেষভাবে আগ্রহী সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ৯৬ জনকে বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যাংক; ৫ জনকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ স্বর্ণপদক ও ২ জনকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী কৃতী শিক্ষার্থীদের এসব পদক প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে রাবি উপাচার্য ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “আমাদের আগামীর হাতছানি বিচারের সবকিছুই আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে। যারা কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন তাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, অবশ্যই বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং যে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পিতা-কন্যার যে ধ্রুপদী অর্থনৈতিক উন্নয়ন সে উন্নয়নে আপনারা সবসময়ই পাশে থাকবেন। কারণ এরই মধ্যে বাঙালি জাতির শান্তি ও মুক্তি।”

এতে অতিথি ছিলেন, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. মুরশেদুল কবীর, রাবি উপউপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপউপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশনাসহ নাট্যকলা এবং সংগীত বিভাগের পক্ষ থেকে সূচনা সংগীত পরিবেশন করা হয়। এর উপস্থাপনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রোনমী অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস আরা ও নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক সুমনা সরকার।

অনার্স, মাস্টার্স বা এমবিবিএস পরীক্ষায় অনুষদে প্রথম শ্রেণিসহ প্রথম স্থান অধিকারীকে অগ্রণী ব্যাংক স্বর্ণপদক, দর্শন বিষয়ে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারীকে ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক এবং এমবিবিএস (শেষ বৃত্তিমূলক, নিয়মিত) পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরসহ চিকিৎসা অনুষদে প্রথম স্থান অধিকারীকে ডা. এ কে খান স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

Link copied!