মুখে কালো কাপড় বেঁধে এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর দাবিসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা জড়ায় তারা। একপর্যায়ে ৬ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তবে, পুলিশের দাবি তাদের ওপর হামলা চালায় শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজ থেকে আসা শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ডাচ চত্বরে সমবেত হন। পরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে শাহবাগের দিকে এগোতে থাকেন। সেখানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহবাগ থানার উল্টোদিকে অবস্থান নেন তারা। পরে আরও এক বাস শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশ নেন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডার শুরু হয় শিক্ষার্থীদের। এসময় আন্দোলনরত ৬ শিক্ষার্থীকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আমরা শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে গেলে পুলিশ আমাদের মারধর ও ধাওয়া দেয়। প্রায় ৭-৮ জনের মতো সহপাঠীদের পুলিশ কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া আরও অনেক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, “আগামী ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির কারণে আমাদের অনেকে ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এছাড়া অনেকেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। দুই মাস পরীক্ষা পেছানো হোক। না হলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হোক।”
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “সারা দেশে পরীক্ষা পেছানোসহ চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। হয়তো দাবি আদায় হবে, না হলে এই পরীক্ষা আমরা সবাই একযোগে ‘বয়কট’ করব।”
এর আগে ডাচ থেকে শাহবাগে আসার পথে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের বাঁধার সম্মুখীন হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানে থেকে তারা শাহবাগে অবস্থান নেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “তারা শিক্ষার্থী কিনা, এ বিষয় যথেষ্ট সন্দেহ আছে। সোমবার (৭ আগস্ট) কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা করলে উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছিল। তাদের আগামী ১৭ আগস্ট তারিখ পরীক্ষা। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগে তারা পরীক্ষা পেছানো ও ৫০ নম্বরের পরীক্ষার দাবিতে রাস্তায় নেমেছে। এটা অযৌক্তিক।”
তিনি আরও বলেন, “আজও তারা রাস্তায় নেমেছে। এসময় তারা পুলিশের ওপর হামলা করেছে। কয়েকজনকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।”
শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি দাবিগুলো হলো, ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নিতে হবে, পরীক্ষা দুই মাস পিছিয়ে দিতে হবে, ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নয় এবং পরীক্ষা থেকে আইসিটি বিষয় বাদ দেওয়া।