• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বগুড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৪


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২২, ০৮:৩৩ এএম
বগুড়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ৪

বগুড়ার গাবতলীর বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে নির্বাচনী সহিংসতায় চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। তিনি এক মেম্বার প্রার্থীর এজেন্ট হিসেবে কেন্দ্রে দায়িত্বে ছিলেন।

বুধবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নের কালাইহাটা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। 

এদিকে নিহতের কথা স্বীকার করলেও প্রশাসন জানিয়েছে মরদেহগুলো তাদের হাতে এখনো আসেনি।

স্থানীয় ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এই চারজনের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। 

নিহতরা হলেন কুলসুম আক্তার, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুর রশিদ। নিহত চারজনই কালাইহাটা গ্রামের বাসিন্দা।  

স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে ভোট শেষে গণনা না করে ওই কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ব্যালট বাক্স উপজেলা সদরে নিয়ে যেতে চান। নৌকা মার্কার কর্মী-সমর্থকেরা এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

তারা কেন্দ্রেই ভোট গণনা করে ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকেরা পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এই ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, “ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে গণনা না করেই উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে চান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট্র মো. আসিফ আহম্মেদ। ওই সময় আমার কর্মী-সমর্থকরা কেন্দ্রেই ভোট গণনা করতে বলেন। এরপরও ম্যাজিস্ট্রেট ব্যালট উপজেলা পরিষদে নিয়ে যেতে চান।”

ইউনুছ আলী মণ্ডল আরও বলেন, “এ সময় আমার কর্মী-সমর্থকরা বাধা দিলে আইনঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুলিবর্ষণ করেন। তাদের গুলিতে চারজন মারা যান। ওই চারজনই আমার কর্মী-সমর্থক।”

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, “বালিয়াদীঘির কালাইহাটা কেন্দ্রে সংঘর্ষে চারজন মারা গেছেন। তাদের লাশ এখনো আমাদের হাতে আসেনি। লাশ সংগ্রহ করে আমরা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাব।”

Link copied!