• ঢাকা
  • সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২, ১১ মুহররম ১৪৪৬

‘সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে, আর নয়’


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
‘সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে, আর নয়’
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গ্রেনেড মারে, বিস্ফোরণ ঘটায়। সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে; আর নয়। সীমান্তে ভারতীয় আগ্রাসন আর মেনে নেয়া হবে না।’

রোববার (৬ জুলাই) চাঁপাইনবাবগঞ্জে এনসিপির পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। এর আগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শান্তির মোড় থেকে বেলা দুইটায় শুরু হয় এনসিপির জুলাই পদযাত্রা। পদযাত্রাটি শহরের বাতেন খাঁর মোড়, নিমতলা মোড়, বড়ইন্দারা মোড়, গাবতলা মোড় হয়ে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা হয়।

পথসভায় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তে অনেক বাহাদুরি হয়েছে দাদাদের। সেই বাহাদুরির দিন শেষ হয়েছে। যদি আর কোনো সীমান্তে পাঁয়তারা করা হয়, যদি সীমান্তে আগ্রাসন চালানো হয়, সীমান্তে আমার ভাইদের ওপর হত্যার চেষ্টা চালানো হয়, আমরা সীমান্তে লংমার্চ ঘোষণা করব। আমাদের সীমান্ত আমরাই রক্ষা করব।’

পথসভায় নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা এসেছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে। যে বার্তা ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আমাদের স্বপ্ন দেখায়। আমরা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চাই। 

তিনি বলেন, দেশ গড়তে আমরা পদযাত্রা শুরু করেছি। দেশ গড়ার বার্তা নিয়ে আমরা আজকে আপনাদের কাছে এসেছি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য-শিক্ষা ও রেলযোগাযোগসহ নানা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এ জেলায় কর্মসংস্থানের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই জেলা দীর্ঘদিন ধরে বৈষম্যের স্বীকার।  আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের সকল জেলা থেকে বৈষম্য দূর হবে।

তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারগুলো আমের রাজধানীর আম নিয়ে কোন উন্নয়ন করেনি। বিগত দিনগুলোতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে ধরনের বৈষম্যের স্বীকার হয়েছে; সেগুলো যাতে পরবর্তীতে আর না হয় সেই প্রত্যাশাও কথাও জানান তিনি। 

এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নওগাঁ থেকে সড়ক পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ এসে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান স্থানীয় নেতবৃন্দ। পরে জুলাই আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র শান্তি মোড় থেকে জুলাই পদযাত্রা শুরু করে দলটির নেতৃবৃন্দ। পরে পদযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে পথসভায় মিলিত হয়।

পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ নানা-শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। 

পথসভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানান, নতুন বাংলাদেশ গড়তে, নতুন ধারার রাজনীতি নিয়ে ভাবনা ও তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের কাছে তাদের স্বপ্ন, প্রত্যাশার কথা তুলে ধরছেন তারা তাদের এই কর্মসূচির মধ্যদিয়ে।  

এনসিপির জেলা পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা জানান, সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে পৌঁছনোর তাদের যে কর্মসূচি সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবেই তারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও  যারা আহত হয়েছেন দেশব্যাপী সেইসব পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন, শুনেছেন তাদের কথা। পাশাপাশি নতুন দেশ গড়তে, নতুন সম্ভাবনার পথ রচনায় শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি স্বপ্নের দেশ গঠনে এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তাদের প্রত্যাশার কথাও জানাচ্ছেন সাধারণ থেকে শুরু করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের।

Link copied!