• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীর মৃত্যু


পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২১, ০৮:২০ পিএম
প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীর মৃত্যু

পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে প্রতিপক্ষের হামলায় সেলিম হোসেন (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহত যুবক ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম শাহীনের কর্মী বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা রাতে নিহতের লাশ নিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। সেলিম হোসেন শ্রীকান্তপুর গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৫ জন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুরে দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কেএম শাহীন কর্মী সমর্থক নিয়ে রায়পুর গ্রামের গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় যান। এ সময় নৌকা মার্কার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমিন হোসেন চঞ্চলের কর্মী সমর্থকেরা তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় সেলিম হোসেন নামের এক যুবক আহত হয়। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

অন্য আহতরা হলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএম শাহীন, শ্রীকান্তপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল, সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, কামাল উদ্দিন ও আসাদুল ইসলাম।

কেএম শাহীন বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণায় গেলে আমার অনুসারীদের উপর নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালালে সেলিম আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। আমি এই হত্যার সঠিক বিচার দাবি করছি।”

অভিযোগের বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহাইমিন হোসেন চঞ্চল বলেন, “এটি একটি বানোয়াট ও মিথ্যা অভিযোগ। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি চক্র এই মিথ্যা রটাচ্ছে। পূর্ব কোনো বিরোধের ইস্যুকে রাজনৈতিতক রং লাগিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার উপর চাপানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।”

এদিকে সন্ধ্যায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কেএম শাহীনের অনুসারীসহ গ্রামের মানুষ নিহত সেলিমের মরদেহ নিয়ে আটঘরিয়া উপজেলা সদরের দেবোত্তর চৌরাস্তা মোড়ে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাকসুদা আক্তার মাসু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভ কারীদের আশ্বস্ত করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, “একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চিকিৎসকের রিপোর্ট অনুযায়ী নিহত সেলিম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।”

Link copied!