নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। রাত পৌনে ৮টার দিকে বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
আইভী মোট ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হাতি প্রতীকের তৈমুর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৯২ কেন্দ্রে চলে ভোটগ্রহণ। উৎসবমুখর পরিবেশে কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই শেষ হয়েছে ভোট। এরপরই শুরু হয় গণনা। বিকেল ৪টার পর থেকে ফল পাওয়ার অপেক্ষা শুরু হয় নৌকা ও হাতি মার্কার প্রার্থী-সর্মথকদের।
শুরুতে উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে। শীতের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে কেন্দ্রে হাজির হন ভোটাররা। তরুণ থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ, সব বয়সী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, “নাসিক নির্বাচনে সার্বিক অবস্থা ভালো ছিল। প্রথমদিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়ে এবং উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।”
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী শিশুবাগ বিদ্যালয়ের নারীকেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট দিতে আসেন। ভোট শেষে আইভী বলেন, “নারায়ণগঞ্জের মানুষ নির্ধারণ করে ফেলেছেন আমাকেই ভোট দেবে। ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবেই হবে, আইভীর জয় হবেই হবে।”
এদিকে, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, “লক্ষাধিক ভোটে আমার জয় হবে।”
৩০ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক নিয়ে সেলিনা হায়াত আইভী। এর আগে দুবার নাসিকের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন দেয়ালঘড়ি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ হাতপাখা, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন বটগাছ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস হাতঘড়ি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এছাড়া সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩২ জন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ১১১ জন। ট্রান্সজেন্ডার ভোটার রয়েছেন চারজন।