নড়াইলের কালিয়ায় গৃহবধূকে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নাসির মৃধা ও নাসিরের ভাবি লাবনী বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধূর নাম সাথী বেগম (২০)।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিহতের শ্বশুরবাড়ি পুরুলিয়া ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাথী বাহির ডাঙ্গা গ্রামের ফসিয়ার মোল্যার মেয়ে।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, নিজের স্বামীর সঙ্গে জা লাবনী বেগমের পরকীয়ার কথা জেনে যাওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় সাথীর স্বামী নাসির মৃধা ও লাবনী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। নাসিরের পরিবারের বাকি সদস্য পলাতক।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে সাথী বেগমের সঙ্গে চন্দ্রপুর গ্রামের ওমর মৃধার ছেলে নাসিরের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের মাঝে কলহ-বিবাদ লেগে থাকতো। এক সময় সাথী তার পরিবারকে নাসিরের সঙ্গে লাবনীর পরকীয়ার বিষয়টি জানায়। ২৮ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ নাসিরের বাবা মোবাইল ফোনে সাথীর বাবার পরিবারকে জানায়, সাথী স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
পরে নিহতের শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাড়ির পাশের একটি গাছে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগায়ে সাথী আত্মহত্যা করেছেন। পরে তার জা লাবনী দা দিয়ে ওড়না কেটে তাকে নামিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই সবুজ মোল্যা বলেন, “আমাকে ফোনে বলল সাথী স্ট্রোক করেছে। পরে বলছে আত্মহত্যা করেছে। আমার বোনকে ওরা মেরে ফেলেছে। শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখেছি। আমার বোনকে তারা হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই।”
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, “এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী নাসির ও নাসিরের ভাবী লাবনী বেগমকে আটক করা হয়েছে।”