সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. সালাহউদ্দিন মামলার জট কমাতে একদিনে ৫১টি মামলার নিষ্পত্তি করে রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে কখনো অর্ধশতাধিক মামলায় একদিনে সাতক্ষীরার কোনো আদালতে রায় ঘোষণা হতে শোনেননি আইনজীবীসহ বিচারপ্রার্থী মানুষ। প্রতারণা, চুরি, যৌতুক দাবি ও মারামারির এসব মামলার মধ্যে ৮ মামলায় সাজা এবং বাকী ৪৩ মামলায় খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ হাকিম তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. সালাহউদ্দিন প্রকাশ্য আদালতে এসব মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শ্যামনগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোড়লের স্ত্রী সাবরিনা খাতুন, একই উপজেলার আবাদ চণ্ডিপুর গ্রামের আবুল গাজীর স্ত্রী হামিদা খাতুন, পাটকেলঘাটার আহসাননগরের মুছা শেখের ছেলে নূর ইসলাম, একই থানার কুমিরা গ্রামের মোজাফফর মুন্সির স্ত্রী ফারুবা মুন্সি, পুরাতন সাতক্ষীরার আওরঞ্জজেবের ছেলে আবু শাহীন শাহজাহান সরদার, বরিশালের মুলাদী থানার আলিমাবাদ গ্রামের মোদাদেচ্ছর হোসেনের ছেলে সরোয়ার হোসেন, বাগেরহাটর মোড়লগঞ্জ উপজেলার কুযারিয়া গ্রামের কামরুজ্জামানের ছেলে অহিদুজ্জামান ও খুলনার বটিয়াঘাটা থানার পরানপুর গ্রামের কাশেম শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান শেখ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. সালাহ উদ্দীনের আদালতে মঙ্গলবার রায় ঘোষণার জন্য প্রস্তুত রাখা হয় মোট ৫৭টি মামলা। আদালত চলাকালীন সময়ে এসব মামলার মধ্যে ৫১টি মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক। এর মধ্যে ৮টি মামলায় সাজা এবং বাকী ৪৩টি মামলায় খালাস প্রদান করেন আদালত।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. খায়রুল বদিউজ্জামান জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে একদিনে ৫১ মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় মামলার জট অনেকটা কমে গেছে। একই সঙ্গে ওই আদালতের বিচারক বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছেন।
বিচারক মো. সালাহ উদ্দীন গত ৫ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা জেলা আদালতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর একটি মাদক মামলায় প্রবেশন আইনের আওতায় এক আসামির দেওয়া সাজা স্থগিত করে নিজ বাড়িতে পারিবারিক পরিবেশে থেকে সংশোধন হওয়ার সুযোগ করে দেন তিনি। এরপর মঙ্গলবার একসঙ্গে ৫১ মামলায় রায় ঘোষণা করে আইনজীবীসহ বিচারপ্রার্থী মানুষের নজরকাড়েন তিনি।