• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২৪, ১১:৩০ এএম
কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যু

নোয়াখালীর সেনবাগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরও ৬ জন। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম শাওন (১৮)। তিনি সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামে কচি মিয়ার ছেলে। আহতদের মধ্যে পিয়াস নামে একজনকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল উপজেলার সেবারহাট বাজারের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে একদিনের জন্য বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাজারের ইজারাদার মাহফুজ, জোবায়ের ও সাইদুল হক মেম্বার। এজন্য গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় চালানো হয় মাইকিং। এর মধ্যে বুধবার বিকেলে মেলায় চলে আসে ১৫-২০টি দোকান। 

একই দিন রাত ৮টার দিকে মেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জসিম কন্ট্রাক্টরের ছেলে হৃদয়ের সঙ্গে শাওন গ্রুপের বিরোধ দেখা দেয়। একপর্যায়ে রাত ৮টার দিকে সেবারহাট বাজারের সাইন্স ক্লাবের সামনে হৃদয়ের নেতৃত্বে শাওনের বুকে, পেটে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং একই সময়ে পিয়াস নামে আরও এক তরুণকে আহত করা হয়। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাওনকে মৃত ঘোষণা করেন। পিয়াসকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।  

এ বিষয়ে সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শাওনকে ফেনী হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। কোন কোন পক্ষ এবং কী নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজীব বলেন, অনুমোদনহীন মেলা বসানো কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ওই বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই অবৈধ মেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে মেলা বসানো ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিছু আসামির নাম আমরা পেয়েছি। তবে তদন্ত শেষে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।   
 

Link copied!