সারা দেশে হরতালকে কেন্দ্র করে লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
এদিকে জেলার আদিতমারী উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টির ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির উপজেলা কার্যালয়। শহরের মিশন মোড়ে ভাঙচুর করা হয়েছে পুলিশের দুইটিসহ ৪টি মোটরসাইকেল।
সকাল থেকে লালমনিরহাটের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করতে থাকে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে দশটার দিকে সাপ্টিবাড়ি বাজারে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ করতে থাকে। একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম হরতালবিরোধী মিছিল নিয়ে বের হলে পাল্টাপাল্টি শুরু হয়। এসময় বিএনপির দুই কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে সকাল এগারোটার দিকে আদিতমারী উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে মিছিল নিয়ে যায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে উভয় পক্ষের দুইজন আহত হয়। এসময় বিএনপির অফিসের চেয়ার ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। পরে সেখান থেকে পালিয়ে যান বিএনপি নেতাকর্মীরা। বর্তমানে সেখানে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এদিকে একই সময় সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ সংঘর্ষ হয়। এসময় সদর উপজেলার গোকুডা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সরকারি বাফা (সার) গোডাউনের লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এছাড়াও এসময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সম্পাদক রাজু ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবলু মিয়াকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রশাসনের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, “হরতালের নামে সকাল থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে মারমুখী আচরণ করে। তারা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে একা পেয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে মারা গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।