• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্মাণের দুদিন পরই রাস্তার বেহাল দশা, ধান রোপণ করে প্রতিবাদ


বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০২৩, ০২:২২ পিএম
নির্মাণের দুদিন পরই রাস্তার বেহাল দশা, ধান রোপণ করে প্রতিবাদ

বরগুনা আমতলীতে নির্মাণের দুই দিন না পেরোতেই দেবে গেছে একটি সড়ক। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার  (২৯ জুন) সকাল দেখা যায়, আমতলীর খেকুয়ানী গাজী বাড়ির সামনে ধান গাছের চারা রোপণ করেছের এলাকাবাসী।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, জিওবি ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের আওতায় গুলিসাখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাড়ি পটুয়াখালী আরএসডি সড়ক থেকে গোছখালী অফিস বাজার পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পিচ ঢালাই করা হয়। এক কোটি ১২ লাখ ৫১ হাজার টাকা ব্যয়ে এ কাজটি পায় বরগুনার ঠিকাদার কোম্পানি সালেহা এন্টারপ্রাইজ। পররে সালেহা এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কাজটি নেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম মৃধা। গত শুক্রবার তিনিই কাজটি শেষ করেন।

স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে আমতলীর খেকুয়ানী গাজী বাড়ির সামনে ধানের চারা রোপণ করে ঠিকাদারের কাজের অনিয়মের প্রতিবাদ করেছে এলাকাবাসী। কয়েকদিন আগে রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। শুক্রবার বিকেলে কাজটি শেষ হয়। কাজের দুই দিনের মাথায় সোমবার সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে ইটের খোয়া ও বিটুমিন উঠে সড়কের ইট বের হয়ে দেবে গেছে। এই সড়কে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার এলাকাবাসী ওই সড়কের দেবে যাওয়া স্থান খেকুয়ানী গাজী বাড়ির সামনে ধান গাছের চারা রোপণ করে প্রতিবাদসহ পুনরায় রাস্তা নির্মাণের দাবি জানান। এছাড়াও এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা।

স্থানীয় আল আমিন খলিফা বলেন, রাস্তাটিতে নিম্নমানের ইট ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক স্থানে পিচের বদলে পোড়া মবিল ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া অপরিষ্কার রাস্তায় পিচ দেওয়ায় তা উঠে যাচ্ছে। দুই দিনেও পিচ ও খোয়া জমাট বাঁধেনি। হাত দিয়েই তুলে ফেলা যাচ্ছে পিচ।

সাইদ নামের আরেকজন বলেন, নির্মাণ কাজের শুরুতেই ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধার কাজের অনিয়মের প্রতিবাদ করে এলাকাবাসী। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বেশ কয়েকবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।

এ বিষয় জানতে যোগাযোগ করা হলে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা বলেন, “দ্রুত সড়কের কাজ পুনরায় করবো।”

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, “বিষয়টি আমি জেনেছি। সড়কের কাজ যথেষ্ট নিম্নমানের হয়েছে। বরগুনা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। দ্রুত তারা ওই সড়কটি পুনরায় সংস্কার করে দেবেন।”  

বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী সুপ্রিয় মুখার্জি বলেন, “ওই সড়কটির বিল দেওয়া হয়নি। বৃষ্টি কমলেই ঠিকাদার পুনরায় ওই কাজ করে দেবেন। ভালোভাবে কাজ শেষ করলেই বিল দেয়া হবে।”

Link copied!