• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বহুল প্রতীক্ষিত ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেসের’ যাত্রা শুরু


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৩:২৪ পিএম
বহুল প্রতীক্ষিত ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেসের’ যাত্রা শুরু
উৎসবমুখর পরিবেশে যাত্র শুরু করল কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

অবশেষে যাত্রা শুরু করল বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা-কক্সবাজার রুটের বাণিজ্যিক ট্রেন ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেল টেশন থেকে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। এ যেন এক দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। প্রথমবারের মতো হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন ছেড়ে গেল সমুদ্র শহর কক্সবাজার থেকে।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো. ফরহাদ বিন জাফর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “প্রথম ট্রেন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এতে যাত্রী ছিল এক হাজার ২০ জন।”

ট্রেনটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। ফিরতি ট্রেন কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। এর মধ্য দিয়ে দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচলে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতিসীমা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচলের সফল কার্যক্রম শেষে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার রেলসংযোগ উদ্বোধনের সময় ডিসেম্বর থেকে দুটি ট্রেন চালুর নির্দেশ দেন।

ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৯৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া ১ হাজার ৩২৫ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ১ হাজার ৫৯০ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া (ঘুমিয়ে যাওয়ার আসন) ২ হাজার ৩৮০ টাকা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ২০৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ৩৮৬ টাকা, এসি সিটের ৪৬৬ এবং এসি বার্থের ভাড়া ৬৯৬ টাকা।

স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার আতিকুর রহমান জানান, এক হাজার ২০ জন যাত্রী নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রথম ট্রেনটি যাত্রা করল। ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রেনটির বাণিজ্যিক এই যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমাস্টার আব্দুল আউয়াল। তিনি বলেন, “২০ বছর ধরে ট্রেন চালাই। এটিই আমার সবচেয়ে ভালো স্মৃতি যা আজীবন মনে থাকবে।”

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ জানান, ট্রেন স্টেশন থেকে হোটেল পর্যন্ত এবং কক্সবাজারে যেসব স্পটে পর্যটকেরা বিচরণ করবেন, সেখানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

তিনি জানান, এ ট্রেন যাত্রার মধ্য দিয়ে খুলে গেল কক্সবাজারের পর্যটন ও বাণিজ্যিক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। সেই সঙ্গে দায়িত্ব বেড়েছে সংশ্লিষ্টদেরও।

Link copied!