• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভোলায় ১৪ গ্রামে রোজা শুরু


ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২৩, ১১:৪৫ এএম
ভোলায় ১৪ গ্রামে রোজা শুরু

সৌদি আরবসহ আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) থেকে ভোলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবারে আগাম রোজা শুরু হয়েছে।

শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ‘দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার’ পীরের মুরিদ ও ভোলা জেলার দায়িত্বে নিয়োজিত খলিফা মজনু মিয়া জানান, আরবি-রীতি অনুযায়ী দরবারে আউলিয়ার সুরেশ্বর দরবার পীরের অনুসারীরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে থাকেন। সেই অনুযায়ী ভোলা জেলার পাঁচ উপজেলার ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার  বুধবার (২২ মার্চ) রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেছেন। বৃহস্পতিবার সাহ্‌রি শেষে রোজা রাখা শুরু করেছেন।

আগাম রোজা শুরু হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলাসহ ১৪টি গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার প্রতিবছর একদিন আগে রোজা রাখেন। একদিন আগে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন।

মজনু মিয়া আরও জানান, সুরেশ্বর পীরের মুরিদ ছাড়াও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া এবং ভাণ্ডারি শরিফ পীরের মুরিদের পরিবারের সদস্যরা শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছেন।

সুরেশ্বর পীরের অপর এক মুরিদ বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার হারুন অর রশিদ বলেন, “আমাদের মতে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই রোজা এবং ঈদ পালন করা যায়। সেই অনুযায়ী আমরা প্রতিবছর এক দিন আগে রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি।”

Link copied!