• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

৮ দিন পর কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মিলল


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
৮ দিন পর কুড়িগ্রামে সূর্যের দেখা মিলল
সূর্যের দেখা মেলায় স্বাভাবিক হচ্ছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। ছবি : প্রতিনিধি

টানা ৮দিন পর কুয়াশার চাদরে ঢাকা কুড়িগ্রামে অবশেষে সূর্যের দেখা মিলেছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টার পর থেকে জেলাজুড়ে রোদের ঝলকানি দেখা যায়। এতে জনমনে দেখা দিয়েছে স্বস্তি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সূর্যের আলো পেয়ে শহরের বাসা-বাড়ির সামনে অনেকেই রোদ উপভোগ করছেন। অধিকাংশ বাসা বাড়ির গৃহিনীরা ৭দিনের জমানো কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। যেন রোদ ওঠায় এক উৎসব বিরাজ করছে।

অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্রবার কুয়াশার দাপট কম ছিল। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ১টার পর খানিকটা সূর্যের দেখা মিললেও পরে তা আবার কুয়াশায় মিলে যায়। কিন্তু শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে সূর্যের আলোয় কর্মচাঞ্চল্য ফেরে উত্তরের এই শীতের শহর কুড়িগ্রামে। সময়মতো জেলার নৌ-বন্দরগুলো থেকে নৌযান ছেড়ে গেছে। জেলার আন্তনগর ট্রেনটি সঠিক সময়ে ছেড়েছে। অন্যদিনের মতো শুক্রবার হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়নি সড়ক পথের যানবাহনগুলোকে।

শহরের পুরাতন থানা পাড়ার বাসিন্দা উত্তম কুমার বলেন, “আজ টানা ৭-৮ দিন পর রোদের দেখা মিলল। দোকানদারি করেও অনেক ভালো লাগছে। এতে শীতের জড়োতা কিছুটা কমলো।“

জেলা সদরের হরিকেশ পাড়ার বাসিন্দা ববিতা দাস বলেন, “কনকনে ঠান্ডার কারণে কয়েকদিন থাকি রোদের দেখা মিলছিল না। বাড়িতে এক গাঁদা ময়লা কাপড় জমে আছে। আজ সবগুলো কাপড় ধুয়ে রোদে শুকাতে দিলাম।”

সুজামের মোড়ের চা বিক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গেল শুক্রবার সকাল বেলা ঠান্ডাতে দোকানদারি করি নাই। আজ রইদ ওঠায় সকাল সকাল দোকান খুলছি।”

তবে রংপুর বিভাগের কিছু জায়গায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় কুড়িগ্রামেও আগামী ২২ তারিখের পর থেকে ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।

জেলার রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৬ কিলোমিটার এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রর্তা ৯৮ শতাংশ। জেলায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যাবে। পরে আরও একটি শৈত্য প্রবাহ দেখা দিতে পারে।

Link copied!