• ঢাকা
  • শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২, ৩০ মুহররম ১৪৪৬

বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, সালিশ বৈঠকে রফাদফা


বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ২৪, ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ, সালিশ বৈঠকে রফাদফা

বরিশালের মুলাদীতে ৯ বছরের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইমন চৌকিদার (২৫) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সালিশ বৈঠক বসিয়ে বিষয়টি রফাদফা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে এ সালিশ বৈঠক করা হয়। 

সালিশ বৈঠকে অভিযুক্ত ইমন চৌকিদারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতাপেটা করার ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামি ১০ দিনের মধ্যে ধর্ষক ১ লাখ টাকা পরিশোধ করবেন এবং তখনই সালিশকারীরা জুতাপেটা করবেন বলে জানান। 

অভিযুক্ত ইমন চৌকিদার সফিপুর ইউনিয়নের চরমালিয়া গ্রামের সেলিম চৌকিদারের ছেলে এবং দুই সন্তানের জনক। 

সালিশ আয়োজকদের একজন চরমালিয়া গ্রামের সাইদুল ব্যাপারী জানান, ধর্ষণের শিকার শিশুর পরিবার ও অভিযুক্ত ইমন চৌকিদার অসহায়। থানা পুলিশ ও আদালতের ঝামেলা এড়াতে সালিশ বৈঠক করে জরিমানা ও জুতাপেটার রায় দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন ইমন। পরে শিশুটি অসুস্থ হলে স্থানীয় ঔষধের দোকানে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় একটি মহল শিশুর পরিবারকে থানা-পুলিশ করতে নিষেধ করেন। মঙ্গলবার রাতে চরমালিয়া গ্রামের সাইদুল ব্যাপারী, দেলোয়ার ব্যাপারী, খোকন মুন্সী ও সেলিম নিকদারসহ কয়েকজন মিলে সালিশ বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকে ইমন শিশু ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও জুতাপেটা করার ঘোষণা দেন তারা। তাৎক্ষণিক টাকা দিতে না পারায় তাকে ১০ দিনের সময় দেওয়া হয় সালিশ বৈঠকে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হান্নান চৌকিদার বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলে ধর্ষণের শিকার শিশুর অভিভাবকেরা বিচার দাবি করেছিলেন। বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় তাদের থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। পরে শুনেছি সালিশ বৈঠক হয়েছে কিন্তু বিস্তারিত জানা নাই।”

মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পেলে দ্রুত মামলা গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

Link copied!