বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন।
এর আগে, বুধবার (২৬ এপ্রিল) জরুরি সভা করে সব শিক্ষকদের নিয়ে এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, রোববার (২৩ এপ্রিল) ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পাথরঘাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হোসেন আকনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর আগে, (ইউএনও) কাছে জবানবন্দি দেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ও তার বাবা।
ছাত্রীর বাবা বলেন, “নবম শ্রেণিতে ওঠার পর ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বার নানা কৌশলে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এছাড়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ১৩ মার্চ স্কুলে শিক্ষা সফরের কথা বলে আমার মেয়েকে বরিশালে নিয়ে দোয়েল আবাসিক হোটেলে রাত যাপনও করেন। বরিশাল থেকে ফেরার পর মেয়ের শারীরিক অসুস্থতা দেখে তার কাছে জানতে চাইলে মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। মানসম্মান রক্ষায় প্রধান শিক্ষক আব্দুল জব্বারকে আমার মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি বাল্যবিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। পরে এ ব্যাপারে সব ঘটনা জানিয়ে বিদ্যালয় ব্যাবস্থাপনা কমিটির কাছে বিচার চেয়ে দরখাস্ত করেছি।”
পাথরঘাটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম রেজা বলেন, “যে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে ছাত্রীর নিরাপত্তা নেই সে সব কুলাঙ্গার শিক্ষকদের কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার।”
এ বিষয়ে পাথরঘাটার ইউএনও সুফল চন্দ্র গোলদার বলেন, “ঘটনাটি সত্য। ওই শিক্ষার্থীর বয়স কম হওয়ায় আইনগতভাবে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়নি। তবে শারীরিক ও মানসিক দিক দেখিয়ে গত ১৯ মার্চ আমার কাছে বিয়ের অনুমতি নিতে এসেছিলেন প্রধান শিক্ষক ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। আমি তাদের অনুমতি দেইনি। বিষয়টি বরগুনা জেলা প্রসাশককে (ডিসি) অবহিত করে বিদ্যালয় কমিটির সভাপতিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :