নওগাঁয় আগাম শিম চাষে করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় কৃষকরা ভীষণ আনন্দিত। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আগাম শিম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে আগাম শিমচাষির সংখ্যা।
নওগাঁ জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছরে শিম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২৮০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো ফলনের কারণে চাষ হয়েছে প্রায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এই অঞ্চলে আগাম চাষের জন্য ‘রূপবান’ ও ‘ইফশা’ নামের দুটি জাতের শিম চাষ করা হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে শিমের বীজ বপন করেন চাষিরা।
জেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে শোভা পাচ্ছে শিমের মাচা। জেলার দেলুয়াবাড়ি ও হাপানিয়া গ্রামে গেলে রাস্তার দুধারে দেখা যায় নীল-বেগুনি রঙের শিমক্ষেতের নয়নাভিরাম দৃশ্য। শিমের রুগ্ণ ফুল ছাড়িয়ে ফেলা, ক্ষেতের আগাছা পরিষ্কার করা এবং কীটপতঙ্গ প্রতিরোধসহ নানা কাজে সময় পার করছেন শিমচাষিরা।
নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের শিমচাষি আবুল কালাম বলেন, “৮ থেকে ৯ বছর ধরে শিম চাষ করে আসছি। কমবেশি প্রতিবছরই লাভবান হচ্ছি। এ বছরও বাজারে শিমের দাম ভালো।”
একই গ্রামের শিমচাষি রুবেল হোসেন জানান, দশ কাঠা জমিতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৮-৯ হাজার টাকা। এবার অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভ হবে।
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগাম শিম চাষ সম্ভাবনাময়। এখানকার মাটি শিম চাষের জন্য উপযোগী।