• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

করলা চাষে স্বাবলম্বী নওগাঁর কৃষক


নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ০৯:৪৪ এএম
করলা চাষে স্বাবলম্বী নওগাঁর কৃষক

নওগাঁর সাপাহারে করলা চাষ করে সচ্ছল হচ্ছেন অনেক কৃষক। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন করলাচাষিরা। কয়েক বছর ধরে এ উপজেলার চাষিরা করলা চাষে উৎসাহিত হয়ে তাদের আমবাগানে গাছের ফাঁকে ফাঁকে সাথি ফসল হিসেবে করলা চাষ করছিলেন, যা বিক্রি হতো স্থানীয় বাজারে। পরে করলা চাষের খবর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসেন সাপাহারে।

এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলার করলাচাষিদের সেন্টার হিসেবে সাপাহার-তিলনা পাকা সড়কের বাহাপুর মোড়ে গড়ে ওঠে অস্থায়ী বাজার। ভোর হলেই বিভিন্ন এলাকার চাষিরা তাদের উৎপাদিত করলা নিয়ে চলে আসেন। তিন থেকে চার ঘণ্টায় করলার বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়।

সাপাহার বাজারে ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি মণ করলা ৯০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। করলার অস্থায়ী এই বাজারে এসে ঢাকার কারওয়ান বাজারের উজ্জ্বল হোসেন নামের এক সবজি ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাপাহারের করলা সবজির গুণগত মান ভালো এখান থেকে করলা কিনে লাভ ভালো হওয়ায় তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার করলা রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছেন।

বাজারের ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন এই বাজার থেকে ১০০ থেকে ১৫০ টন করলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাপলা খাতুন জানান, কয়েক বছর ধরে করলা চাষ এ উপজেলায় চাষিদের মধ্যে এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছে। কৃষি অফিসের পরামর্শে উপজেলার অনেকেই এখন দেশি, হাইব্রিড, সোনামুখীসহ বিভিন্ন জাতের করলা চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন।

কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর উপজেলায় ১৬০ থেকে ২০০ বিঘা জমিতে করলা চাষাবাদ হয়েছে। করলা ক্ষণস্থায়ী ফসল হলেও এবারে এর ব্যাপক ফলন হয়েছে। দামও রয়েছে কৃষকের মনের মতো। আবহাওয়া আর কিছুদিন অনুকূলে থাকলে করলা চাষের মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে বলেও কৃষি অফিসার জানিয়েছেন।

Link copied!