• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৩, ০৭:৩৯ পিএম
এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ১

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় গাছের নিচে চাপা পড়ে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ঘরের নিচে ও গাছের ডাল ভেঙে অন্তত আরও ৫ জন আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিমউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রাতে উপজেলায় ছোট হামিরদী ও আজিমনগর গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে এ ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

ঘূর্ণিঝড়ে নিহত গৃহবধূর নাম ঝর্ণা বেগম (২০)। তিনি উপজেলার ছোট হামিরদী গ্রামের শাহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। তখন ঝর্ণা বেগম ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়লে তিনি চাপা পড়েন। রাত ৯টার দিকে তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ওই এলাকার শতাধিক বাড়ি- ঘর, গাছ-পালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়।

এছাড়া গাছ ভেঙে পড়ে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ২ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়-ক্ষতির সংবাদ পেয়ে শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন,  সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুদুর রহমান, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় হামিরদী ইউনিয়ন ও আজিমনগর ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চালসহ ডাল, তেল, আটা ও লবন প্রদান করা হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিম উদ্দিন বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি মাত্র ২-১ মিনিটের মধ্যে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে ২টি গ্রাম লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের আরও সাহায্যের ব্যবস্থা করা হবে।”

Link copied!