• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

হাতপাখায় স্বাবলম্বী যে গ্রামের মানুষ


মো. জহিরুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৪, ০৪:৩৯ পিএম
হাতপাখায় স্বাবলম্বী যে গ্রামের মানুষ

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এমন গরমের মধ্যে বেড়েছে লোডশেডিংও। এতে কদর বেড়েছে হাতপাখার। ব্যস্ততা বেড়েছে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত কারিগরদেরও।

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের লস্করা গ্রামটি হাতপাখার গ্রাম বলে পরিচিত। গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ছোট বড় সকলেই এ পেশার সঙ্গে জড়িত। লস্করা গ্রামে এখন হাতপাখা তৈরির মহাকর্মযজ্ঞ। কেউ বাঁশ আনছেন, কেউ বুনছেন, কেউ করছেন রং, আর নারীরা তাতে ফুটিয়ে তুলছেন বাহারি নকশা তালপাখা, বাঁশের পাখা ও সুতার পাখা তৈরি করেন তারা।

হাতপাখা তৈরি করেই স্বাবলম্বী গ্রামটির অধিকাংশ পরিবার। বাড়ির কাজের পাশাপাশি হাতপাখা তৈরি করে থাকেন গ্রামের নারীরা। স্কুলের অবসরে শিশু-কিশোররাও কাজ করে। বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন পুরুষরা। পাইকারি দরে একটি পাখা বিক্রি হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। গরমের দিনে অল্প দামের এই পাখাতেই গ্রামীণ মানুষের আস্থা।

আশিকুল নামের এক স্কুলছাত্র বলে, “আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি পাখা তৈরির কাজ করি। গরমে স্কুল বন্ধ, খেলাধুলা করা যায় না। যা আয় হয় তা দিয়ে আমাদের হাত খরচের টাকা হয়ে যায়।”

ব্যবসায়ী শরিফ বলেন, “একদিকে গরম, অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ। হাতপাখার দাম কিছুটা বেড়েছে। আগে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কিনতে হয়। তবে হাতপাখায় স্বস্তি পাওয়া যায়।”

শামিম নামের এক কারিগর বলেন, “আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে হাতপাখা তৈরির কাজ করছি। গরম কম হোক আর বেশি হোক, এটা আমাদের পেশা। ব্যবসা আর টুকটাক কৃষির পাশাপাশি আমাদের গ্রামের সবাই এ পেশার জড়িত। সকলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন।”

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, তাপপ্রবাহ বেশি হওয়ায় হাতপাখার চাহিদা বেড়েছে। এ শিল্পকে ধরে রাখতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

Link copied!