• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়


কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: এপ্রিল ২২, ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
বৃষ্টির প্রত্যাশায় ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় করেছেন এলাকাবাসী। পরে বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল পৌনে ৯টায় উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে এ নামাজ শেষে মোনাজাতের আয়োজন করেন স্থানীয়রা। এতে ইউনিয়নের বল্লভপুর, রসুলপুর, ভবানীপুর, জোতমোড়া ও বরইচারা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর মাদরাসার হেফজ্বখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একইস্থানে সকাল ৮টায় বৃষ্টির জন্য নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।

সরেজমিন খড়িলার বিলে গিয়ে দেখা যায়, জায়নামাজ, খেজুরের পাটি, গামছা নিয়ে নানা বয়সী মানুষ মাঠে হাজির হয়েছেন। হুজুর প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে নামাজের নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন সবাই। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে সবাই প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাবদাহ ও ক্ষরা থেকে রক্ষা পেতে এবং বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করেন।

রসুলপুর মাদরাসার হেফজ্বখানার শিক্ষক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী বলেন, “কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণে মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও ক্ষরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট পাপের তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন।”

দহখোলা দক্ষিণ ভবানীপুর কওমী হাফেজিয়া মাদরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা রাসেল মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই খুব কষ্টে আছেন। সেজন্য তারা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়েছেন। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একইস্থানে বৃষ্টির নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, সকালে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকছে। তবে বিকেল ৩টার দিকে তা বেড়ে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাও নেই।
 

Link copied!