• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার আয়েই চলত সংসার


লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩০, ২০২৩, ০৬:৫৪ পিএম
নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার আয়েই চলত সংসার
জাহাঙ্গীর আলমের স্বজনদের আহাজারি। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নে ছুরিকাঘাতে নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার আয়ে স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ ৫ সদস্যের সংসার চলত।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বেড়াপাঙ্গা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মরহুমের নামাজের জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

জানাজায় জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ কয়েক হাজার মুসল্লি অংশ নেন।

জানাজায় লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান, সহ-সভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ হোসেন বাদল, গোলাম মোস্তফা স্বপন, সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজনসহ জাতীয় শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

এদিকে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো মামলা হয়নি। তবে সন্দেহজনক ৫ জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

হরতাল সমর্থনে জেলার বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুরের ঘটনায় এ জেলায় মোট ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক বলেন, “হরতালে সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে সন্দেহজনক ৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল চলাকালে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে তাকে দীর্ঘসময় আটকে রাখা হয়।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও তিন কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে তারা। ৩০ মিনিট পর বিএনপির নেতাকর্মীরা চলে গেলে আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।

Link copied!