• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভালোবাসা দিবসে কক্সবাজার সৈকতে লাখো পর্যটক


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩, ০৩:৪৯ পিএম
ভালোবাসা দিবসে কক্সবাজার সৈকতে লাখো পর্যটক

আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও বসন্তের প্রথম দিন। এই দিনকে ঘিরে লাখো পর্যটক এখন কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়দের পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে সমুদ্রসৈকত। সৈকতে কেউ যুগলবন্দী হয়ে সমুদ্র স্নান করছেন, কেউ আবার বালিয়াড়িতে পায়চারি করে সৈকতের পরিবেশকে করে তুলছেন ভালোবাসাময়।

পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পর্যটন শহর কক্সবাজারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। কক্সবাজারের সব কটি আবাসিক হোটেল মোটেল এরই মধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজারে আসা এসব যুগলবন্দীদের কথা চিন্তা করে তারকা মানের হোটেলগুলোতে দেওয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। কক্সবাজারের ছোট বড় মাঝারি সব হোটেল মোটেল, কটেজ, রেস্টহাউস ও গেস্টহাউসগুলো আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। অনেক হোটেল মোটেল ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পর্যন্ত বুকিং হয়ে গেছে। কক্সবাজারে বর্তমানে লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছেন।

কক্সবাজারের অন্যতম তারকা মানের হোটেল সি গালের সহব্যবস্থাপক নুরে আলম বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। পর্যটকদের সংখ্যা অব্যাহত থাকলে পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাদের অতীতের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।

কক্সবাজার লং বিচ হোটেলের ব্যবস্থাপক তারেকুর রহমান বলেন, দীর্ঘ দুই বছর ধরে লাভের মুখ দেখছেন ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় এ অবস্থায় পৌঁছাতে পেরেছে। আগামীতে যদি এই রকম পরিস্থিতি থাকে, তাহলে পর্যটনশিল্প বিকাশে অনেকটা সহায়ক হবে।

এদিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারের বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ প্রশাসন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, পর্যটকদের আগমন ও স্থানীয়দের পদচারণে নিরাপদ করতে পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে কক্সবাজারে ভ্রমণ করতে পারবেন।

Link copied!