• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

সীমান্তের ওপারে তুমুল লড়াই, দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ


বান্দরবান প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৪, ০৩:৪৪ পিএম
সীমান্তের ওপারে তুমুল লড়াই, দুই বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে আহত বাংলাদেশি। ছবি : সংগৃহীত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে গোলাগুলি চলছে। এতে সীমান্তের ওপার থেকে আসা গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল দশটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন তুমব্রু ক্যাম্প পাড়ার বাসিন্দা প্রবীরচন্দ্র ও রহিমা বেগম (৫০)। রহিমা বেগম ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী।

ঘুমধুম ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য খালেদা বেগম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার এমএসএফ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিন ধরে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এদিকে মিয়ানমারে গোলাগুলির বিকট শব্দে তুমব্রু এলাকার শূন্যরেখার পার্শ্ববর্তী তুমব্রু, ঘুমধুম, বাইশফাঁড়ি, চাকমাপাড়া, উত্তরপাড়া, ভাজাবনিয়াসহ কয়েকটি পাড়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে নিজ বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

এদিকে সীমান্তজুড়ে গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে সীমান্ত এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী আসেনি বলে জানান শিক্ষকরা। স্কুলগুলো হলো উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজাবনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

পশ্চিমকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, “ভোর থেকে সীমান্ত ওপার থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ আসে। দুপুর পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে। আতঙ্কে বিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী আসেনি। তবে স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা সবাই উপস্থিত হয়েছেন। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে কখন আসবে না আসবে সীমান্তের পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।”

জেলা শিক্ষা অফিসার ফরিদুল আলম হোসাইনি বলেন, “গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত এলাকার একটি দাখিল মাদ্রাসাতেও কোনো শিক্ষার্থী আসেনি।”

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, “গতকাল (শনিবার) বিকেলে এবং রাতে সীমান্তের ওপারে রাখাইনের তুমব্রু রাইট পিলার ক্যাম্প এলাকা থেকে এলোপাথাড়ি ফায়ারিং হয়। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামবাসীরা ওপারের দুপক্ষের লড়াইয়ে আতঙ্কে রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও কক্সবাজার উখিয়ার পালংখালী সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে এপারে। এতে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা। ঘুমধুমের তুম্ব্রু এলাকার অনেকই ঘর বাড়ি ও দোকানপাট বন্ধ করে নিরাপদে সরে পড়েছে।

এদিকে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, “এ ঘটনায় আমরা সীমান্তের কয়েকটি সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি এবং সীমান্ত লাগোয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

Link copied!