• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ১২:৩১ পিএম
টানা শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম

উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন। জেলায় এক সপ্তাহ ধরে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলার কারণে গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টের মাত্রা আরও বেড়েছে শীতার্তদের।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার পরও দেখা মেলেনি সূর্যের। বাতাসে জলীয়বাষ্প ১০০ শতাংশ থাকায় হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে ঠান্ডার মাত্রাও। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষ। শীত নিবারণের জন্য অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার চিলমারী নৌ-বন্দর ও সদরের মোগলগাছা নৌ-ঘাট থেকে ৪-৫ ঘণ্টা বিলম্বে নৌ-যানগুলো চলাচল করছে। সড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে হেডলাইট জ্বালিয়েই চলছে যান-বাহন। কুড়িগ্রামের আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেন কুয়াশার কারণে ২-৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছাড়ছে।

কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাগামী যাত্রী মমিনুল ইসলাম বলেন, “সকাল ৭টায় স্টেশনে এসেছি। সোয়া ৭টায় ট্রেন, অথচ কুয়াশার কারণে ট্রেন দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে।”

পৌরসভার বাসিন্দা অমিত পাল বলেন, “বেলা সাড়ে ১১টা বাজতে চললো। অথচ রোদের দেখা এখনো মিলছে না। এ অবস্থায় কাজ করা খুব অসুবিধা হয়ে পড়েছে।”

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে অবস্থিত কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তুহিন মিয়া জানান, সোমবার সকাল ৬টায় কুড়িগ্রাম জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আগামী দুই থেকে তিনদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শীতের কষ্ট লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বরাদ্দ দেওয়া এ অর্থ জেলার ৯ উপজেলায় উপবরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

Link copied!