চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সোনামসজিদ সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভারতীয় কাপড় উদ্ধার করেছে ৫৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে গোবরাতলা ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রহনপুর ব্যাটালিয়ন ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
এর আগে, মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাতে এসব শাড়ি, থ্রিপিস, শাল উদ্ধার করা হয়। তবে এ সময় কাউকে আটক না হলেও ট্রাকটি জব্দ করা হয়।
এ লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সোনামসজিদ স্থল বন্দর থেকে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারতীয় ক্লে এর বিপরীতে বিপুল পরিমান ভারতীয় শাড়ী, থ্রিপিস ও শাল চাদর আনছে। এমন খবরে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ১১টায় ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ বিওপির নায়েব মো. সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একটি চৌকষ টহল দল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৮৪/২-এস হতে ৮শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের পিরোজপুর এলাকার ভেহিক্যাল স্ক্যানার রাস্তায় যানবাহন তল্লাশি শুরু করে। এ সময় সোনামসজিদ থেকে কানসাটমুখী একটি ট্রাককে (ঢাকা মেট্রো ট-২২-৬৩৮৩) টহল দল থামার জন্য সংকেত দিলে এর চালক মালামালবোঝাই ট্রাক ফেলে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ফেলে যাওয়া ট্রাক বুধবার সকাল ৯ টায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ও কাস্টম কর্মকর্তার সম্মুখে তল্লাশি করে ২ শ বস্তা চায়না ক্লে পাউডারের নিচে ঘোষণা বহির্ভূত কোটি টাকা সমমূল্যের ভারতীয় ২৭০ পিস শাড়ি, ৯১০ পিস থ্রিপিস ও ১৭০০ পিস শাল চাদর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে কাস্টমস কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, বিজিবি কর্তৃক উদ্ধার মালামাল মো. রফিকুল ইসলামের জন্য মুকুল ট্রেডার্স নামক একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমদানি করছিল বলে তদন্তে পাওয়া গেছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ প্রচলিত সরকারি আইনে এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবে এবং এসব বিষয়ে কাস্টমস আরো সতর্ক দৃষ্টি রাখবে বলে তিনি জানান।
উদ্ধার মালামাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ কাস্টমসে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়।