দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে গ্রেপ্তারদের বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার বাকি পাঁচজন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। তবে তাদের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
মিনহাদুজ্জামন লিটন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী সাহদারা মান্নানের ভাই।
র্যাব জানায়, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাতে ওই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের সমর্থক রেজওয়ানুল রিজভীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে রিজভীর স্ত্রী নাহিদ নাসরিন সাথী বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামন লিটন ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিনসহ সাতজনকে আসামি করে হত্যা চেষ্টার মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান লিটনের নেতৃত্বে জোড়গাছার ভেলুরপাড়া চারমাথা এলাকায় আব্দুল মতিসহ ৭-৮ জন ব্যক্তি ঈগল প্রতীকের সমর্থক রিজভীর ওপর হামলা চালায়। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর ও মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ওসি) মোস্তাফিজ হাসান বলেন, সোনাতলায় এক প্রার্থীর সমর্থককে মারধরের মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে র্যাব সদস্যরা গ্রেপ্তার করেছেন। সকালে তাদের হস্তান্তর করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :