• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

আজওয়া খেজুর চাষে হানিফার চমক


বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৩০, ২০২৩, ০৮:১২ পিএম
আজওয়া খেজুর চাষে হানিফার চমক

রমজান মাসে ইফতারে খেজুরের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা সবচেয়ে বেশি। তবে বাংলাদেশে বর্তমানে রমজান মাস ছাড়াও এখন প্রায় সারা বছরই খেজুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে সৌদি আরব থেকে আসা খেজুর। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে সেই সৌদি আরবের বিভিন্ন জাতের খেজুর বাংলাদেশেই চাষ হচ্ছে।

শীকালীন ফল স্ট্রব্রেরির পর এবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটিতে মরুভূমির ফল আজওয়া খেজুর ফলিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আলহাজ্ব আবু হানিফা। সৌদির খেজুর চাষের সফলতাকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও কৃষিক্ষেত্রে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের আমড়া গোহাইল গ্রামের চাষি আলহাজ্ব আবু হানিফা। তার গাছে এখন থোকায় থোকায় মরুভূমির আজোয়া খেজুর ঝুলছে।

জানা যায়, আবু হানিফা ২০১৮ সালে হজ করে আসার সময় সৌদি থেকে আজওয়া খেজুর এনে সেগুলোর বীজ সংরক্ষণ করেন এবং টবে চারা তৈরি করেন। ২০২০ সালে ৯ শতক জায়গার ওপর ১৬টি চারাসহ মাল্টা, আপেলকুল, বারোমাসি আম, বারি ফোর, কিউজাই, মিষ্টি তেঁতুল, কামরাঙ্গা, আলু বোখারা গাছ লাগিয়েছেন। এছাড়াও ১ বিঘা জমিতে লিচু, বিভিন্ন জাতের আম, পেঁপে, সফেদা, গোলাপজাম, লাগিয়েছেন। এ যেন এক মন মাতানো দৃশ্য। সবুজের বুকে অন্য রকম সবুজ। আবু হানিফার বাগানে এ খেজুর দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করছেন।

আবু হানিফা বলেন, “১০-১৫ দিনের মধ্যে খেজুরগুলো পরিপূর্ণভাবে পেকে যাবে। পরের বছর হয়তো আরও কিছু গাছে ফল আসবে। বাগান বৃদ্ধি ও চারা বিক্রির জন্য এখন আমি আজওয়া ও মরিয়ম জাতের খেজুরের বীজ সংগ্রহ করে চারা তৈরি করেছি। যদি কেউ চাষ করতে চান তাহলে আমার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ করতে পারে।”

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, আবু হানিফা সখের বসে চারা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে তার ২টি গাছে খেজুর ধরেছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে সব রকমের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এখন খেজুরগাছের চারাও উৎপাদন করছেন।

Link copied!