দিন দিন সরিষা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন রাজশাহীর চাষিরা। রোপা-বোরোর মাঝে বাড়তি ফসল হিসেবে গত বছরের তুলনায় এবার চাষিরা বেশি সরিষার চাষ করেছেন। ফসল সংগ্রহের পর বাজারে ভালো দাম থাকায় খুশি তারা।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ক্রমান্বয়ে জেলায় সরিষার চাষ ও ফলন বেড়েছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৪০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। অথচ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ২৫০ হেক্টর বেশি। সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৩ হাজার ৯৯৮ মেট্রিক টন। হেক্টরে ফলন ধরা হয়েছে ১ দশমিক ৫৯ টন। (উফশী) জাতের বারি সরিষা-১৪, বারি সরিষা-১৭, বারি সরিষা-১৮ চাষের পাশাপাশি বিনা জাতের সরিষার চাষ হয়েছে।
জেলার কৃষি কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, “সরিষা, ভুট্টা ও বোরো আবাদের উপযুক্ত তাপমাত্রা ২২ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অনুকূল আবহাওয়ার কারণে গত পাঁচ বছরে ক্রমান্বয়ে এবার সরিষার ফলন বেড়েছে।”
জেলার কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, অনুকূল আবহাওয়া ও ভালো মানের বীজ সরবরাহ থাকায় জেলায় সরিষার ফলন বেড়েছে। সরিষার দুটি জাত বারি সরিষা ১৪ ও ১৫ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এই সরিষার মান ও ফলন অনেক ভালো। পাঁচ কেজি বারি সরিষায় তেল হয় পৌঁনে চার থেকে সাড়ে চার কেজি পর্যন্ত। একই পরিমাণ স্থানীয় জাতের সরিষায় তেল হয় সর্বোচ্চ সোয়া তিন কেজি।
এ বিষয়ে জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, “অনুকূল আবহাওয়া ও নিবিড় পরিচর্যার কারণে কৃষকরা সরিষা আবাদ করে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। দুই ধানের মাঝামাঝি সময়ে সরিষা চাষ কিংবা ধান কাটার আগেই ধানের ভেতরে সরিষা বুনে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষের ব্যাপারেও চাষিদের অবহিত করা হয়েছে।”
আপনার মতামত লিখুন :