• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কুকুরের কামড়ে আহত ২১ জন হাসপাতালে


দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩, ০৫:৫৮ পিএম
কুকুরের কামড়ে আহত ২১ জন হাসপাতালে

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কুকুরের কামড়ে ২ দিনে ২১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এদের অধিকাংশ শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠ।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত এসব রোগী কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে দুজনের শরীর থেকে মাংস কামড়ে নিয়ে গেছে কুকুর। এদিকে কুকুর নিধন এবং কুকুরের ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কোনো কার্যক্রম না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। হঠাৎ করে কুকুর কামড়ে আক্রান্তের ঘটনায় আতংক বিরাজ করছে পুরো এলাকায়।

হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী কুকুরের কামড়ে আক্রান্তরা হলেন জিল্লুর রহমান (৩৬), আব্দুল করিম (৪৫), রাজিয়া বেগম (৩০), লাবণ্য (৩), ইসমাইল হোসেন (৫০), শরীয়ত (৭), হাবিবুল্লাহ (৫), আরোবি আক্তার (৩), মাকছুদা বেগম (২৮), আনারুল ইসলাম (৩২), বানেসা বেগম (৪৫), ছোয়াইব ইসলাম (৩), মোজাফ্ফর রহমান (৫০), রাফিয়া আক্তার (৩), সুরুজ মিয়া (৩০), শ্যামলী কুণ্ডু (৪৫), কাঞ্চন রানী (৩৫), পূর্ণিমা রানী সরকার (৫২), সালেহা বেগম (৭৫), বুলবুলি বেগম (৪২) এবং অনন্ত কুমার (১৯)। তারা সকলে ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।

কুকুর কামড়ে আক্রান্ত শিশু শরীয়তের বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, “আমাদের গ্রাম এবং আশপাশে প্রতিদিন কুকুর কামড়ের ঘটনা ঘটছে। কুকুরের ভয়ে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। এসব কুকুর নিধনে প্রশাসন কেন জানি ঘুমাচ্ছে।”

ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র আব্দুস সাত্তার মিলন বলেন, “কুকুর কামড়ে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। প্রায় ৩-৪ বছর আগে পৌরসভার পক্ষ থেকে কুকুর নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা আবারও কুকুর নিধন অভিযানের জন্য আবেদন করেছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ লোক নিয়ে এসে এই কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।”

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরে আজমির ঝিলিক বলেন, “দুইদিনে কুকুর কামড়ে আক্রান্ত হয়ে ২১ জন রোগী হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী একজন নারীর শরীর থেকে কামড় দিয়ে মাংস তুলে নিয়েছে কুকুর। সকলকেই আমরা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দিয়েছি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মজুদ আছে। আক্রান্ত স্থানে ক্ষতের ধরণ অনুযায়ী আমরা রোগীদের ৩টি গ্রেডে বিভক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করছি।”

Link copied!