• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফেসবুক থেকে সংগৃহীত অর্থে ঘর পেল প্রতিবন্ধী হালিমা


সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০৫:১০ পিএম
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত অর্থে ঘর পেল প্রতিবন্ধী হালিমা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সংগৃহীত অর্থায়নে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে প্রতিবন্ধী হালিমা পেয়েছে রঙ্গিন ঘর। কিছুদিন আগের জরাজীর্ণ ভাঙা ঘরে অসুস্থ বাবা আর মাকে নিয়ে বসবাস করতেন হালিমা। বিষয়টি নজরে আসে মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাসের। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ফেসবুক সহায়তার আর্তি করে পোষ্ট দিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় হালিমাকে গড়ে দিয়েছেন রঙিন ঘর। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না অসহায় হালিমা ও তার বাবা মাকে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে বেলকুচি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সামান্য পাড়া গ্রামের হালিমার হাতে নতুন ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়।

জানা যায়, প্রতিবন্ধী হালিমার আরেক বোনকে অনেক আগেই বিয়ে দিয়েছেন। বাবা হাসেন শেখ শারীরিকভাবে অসুস্থ। কোনো কাজ করতে পারেন না। হালিমা তার মা খোদেজা ও বাবা হাসেনসহ তিনজনের জীবনযাপন এই ঝুপড়ি ঘরেই।

এদিকে রঙিন ঘর পেয়ে আবেগ আপ্লুত হালিমা বলেন, “আগে ঝড়-বৃষ্টি হলে বাবা-মাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতাম। এখন আমার নতুন ঘর হয়েছে, নিজের ঘরেই থাকতে পারব। টয়লেটও তৈরি করে দিয়েছে।”

হালিমার অসুস্থ বাবা হাতেম শেখ বলেন, “প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছি। জরাজীর্ণ ঘরে মুরগি ও আমরা একই স্থানে বসবাস করেছি। স্বপ্নেও কল্পনা করিনি যে কখনো নতুন রঙিন ঘর পাব, এত সুন্দর ঘরে থাকতে পারব। ঘর, টয়লেট, নতুন পোশাকসহ সবকিছু পেয়ে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি। যতদিন বেঁচে আছি মামুন বিশ্বাসসহ সহায়তাকারীদের জন্য প্রাণ ভরে দোয়া থাকবে।”

এ বিষয়ে সমাজকর্মী মামুন বিশ্বাস বলেন, “২৩ বছর বয়সী শারীরিক প্রতিবন্ধী হালিমা চট ও পলিথিন আর লাকড়ি দিয়ে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিস্তারিত লিখে ফেসবুকে একটা পোস্ট দেই। ফেসবুকের বন্ধুদের কাছ থেকে ৭৩ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়। সেই অর্থ দিয়েই নতুন রঙ্গিন ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি।”

মামুন বিশ্বাস আরও বলেন, “আমরা সবাই যদি যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসি, তাহলে আমাদের সমাজে অবহেলিত কোনো মানুষ থাকবে না। আমাদের সবাইকে সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসা দরকার। আমি শুধু চেষ্টা করি ফেসবুক বন্ধুরা এগিয়ে আসেন বলেই প্রতিটি মানবিক কাজের জয় হয়।”

Link copied!