নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পাওনা টাকা চাইতে গেলে মো. সোহেল (৩০) নামের এক দিনমজুরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সোহেলের মৃত্যু হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকায় নিহত সোহেলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
সোহেল উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকার বলির দোকানের সামনে দিনমজুরীর পাওনা টাকা নিয়ে একই গ্রামের বাহারের ছেলে সোহেলের (২৮) সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সোহেলসহ (২৮) অজ্ঞাতনামা কয়েকজন যুবক লোহার রড়,স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দিনমজুর সোহেলকে মাথায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে তার পরিবারের লোকজন দিনমজুর সোহেলকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই মো.রুবেল বলেন, “আমার ভাইকে গুরুত্বর জখম করে হত্যা করা হয়েছে।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ সাহা বলেন, “কাজের পাওনা ১২০ টাকা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। নিহত যুবকের নাম সোহেল। আবার হামলাকারী যুবকের নামও সোহেল। হামলার ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে শনিবার রাতেই বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।”
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। অভিযুক্ত যুবক সোহেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”