• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

দশানী গিলে খাচ্ছে বাড়ি, ফসলি জমি


শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩, ০৯:৪৬ এএম
দশানী গিলে খাচ্ছে বাড়ি, ফসলি জমি

টানা বর্ষণে শেরপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সদর উপজেলার কামারেরচর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া দশানী নদীর ভাঙনে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী এলাকার বাড়িঘর। স্থানীয়রা বলছেন, ইতিমধ্যে এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনে বৈদ্যুতিক লাইনসহ শতাধিক একর ফসলি জমিও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক আব্বাস উদ্দীন, লাইলী বেগম ও শাহজাহান মিয়া বলেন, কয়েক বছরের ভাঙনে মূল নদীর গভীরতা কমে গতিপথ এখন  লোকালয়ের দিকে চলে আসছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নদী এলাকার শতাধিক মিটার ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত এই চরের কৃষকের ধান ও সবজিক্ষেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। টিউবয়েল ও টয়লেট নদীতে চলে যাওয়ায় কয়েকটি পরিবারের নিরাপদ পানির অভাব তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি পরিবার বাড়ি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আজিজুর রহমান বলেন, “গেল তিন-চার দিনের মধ্যে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় আমার নতুন বাড়িও এখন হুমকির মুখে। এ ছাড়া এলাকার ৬০ বছরের পুরোনো বাজার, একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদসহ শতাধিক বাড়িঘর দশানীর গিলে খাওয়ার উপক্রম হয়েছে।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাবের মিয়া বলেন, “আমার বাড়ি এ নিয়ে পাঁচবার নদীগর্ভে চলে গেছে। প্রতিবার নদীর ভাঙনে বাড়ি পেছনের দিকে সরিয়ে নিলেও এবার আর জায়গা নাই।”

কামারেরচর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, “গতবারের ভাঙনের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই এবার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিনে পরিদর্শন করিয়েছি।”

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলার ইউএনও মেহনাজ ফেরদৌস।

Link copied!