নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ মিন্টু (৪৫)। তিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাহবুল্লাপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। তিনি গোপালপুর ইউনিয়ন যুবদলের নেতা ছিলেন।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহত লতিফের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কোটরামহব্বতপুর গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে পুলিশ আবদুল লতিফকে উদ্ধার করে। রাত পৌনে ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় মো. রাসেল ওরফে শিশু রাসেল (২৭) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদকাশিমপুর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০২২ সালের ৭ জুলাই উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. হাসিবুল বাশার ওরফে হাসিবকে (২২) কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন নিহত যুবদল নেতা আবদুল লতিফ ওরফে মিন্টু। কিছুদিন আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর নতুন করে যুবলীগ নেতা শিশু রাসেলের সঙ্গে তার বিরোধ হয়।
পূর্বশক্রতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার দুপুরের দিকে যুবলীগ নেতা রাসেলসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জন আবদুল লতিফকে স্থানীয় কবির বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে তুলে নিয়ে যান। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলার কোটরামহব্বতপুর গ্রামে ফেলে যান। স্থানীয় চৌকিদার বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বিকেলে আবদুল লতিফকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর জাহেদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৃত্যুর আগে ভিডিওতে ধারণ করা নিহত ব্যক্তির কথার ভিডিওতে শিশু রাসেল নামের এক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। থানায় এ বিষয়ে মামলা হবে।