• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কার্টনভর্তি ৪২ লাখ টাকা জব্দ, সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৪, ১০:১৪ এএম
কার্টনভর্তি ৪২ লাখ টাকা জব্দ, সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার
দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার সার্ভেয়ার কাওসার হোসেনকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে কার্টনভর্তি ৪২ লাখ টাকা জব্দের ঘটনায় মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার কাওসার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মাধ্যমে সার্ভেয়ার কাওসার হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার কাওসার হোসেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের মধ্য রসুলপুর এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে। মামলার আরেক আসামি জাহিদুল ইসলাম (২৮) সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের আউটসোর্সিং শাখার সাবেক কর্মচারী। তার বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার রামদাসপুর এলাকায়। তিনি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কায়েমপুর এলাকায় বসবাস করতেন। এদিকে টাকা জব্দের ঘটনায় সার্ভেয়ার কাওসার হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

১০ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের আউটসোর্সিং শাখার প্রাক্তন কর্মচারী জাহিদুল ইসলামের কাছ থেকে একটি কার্টন উদ্ধার করেন নিরাপত্তাপ্রহরী রিফাত হোসেন। বিষয়টি তিনি নেজারত ডেপুটি কালেক্টর রবিন মিয়াকে জানান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহিদুল জানান, কার্টনের ভেতরে নগদ টাকা আছে এবং টাকাগুলো জনৈক রানার। নেজারত ডেপুটি কালেক্টর রবিন মিয়া বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হককে জানালে তিনি টাকাগুলো জব্দের নির্দেশ দেন। কার্টনের ভেতরে ৪২ লাখ টাকা পাওয়া যায়। ফতুল্লা মডেল থানায় জিডি করে টাকাগুলো জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ট্রেজারিতে জমা রাখা হয়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জনৈক রানাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তিনি জানান, সার্ভেয়ার কাওসার হোসেন টাকাগুলো তার (রানা) বলে দাবি করার অনুরোধ করেছিলেন। এরপর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতীয়মান হয়, জব্দ করা ৪২ লাখ টাকা দুর্নীতিসংশ্লিষ্ট্র অর্থ এবং এর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারেন। বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য ১৪ জানুয়ারি জেলা প্রশাসক দুদকে চিঠি দেন। পরে এ ঘটনায় দুদক জাহিদুল ও কাওসারের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করে। ওই মামলায় সার্ভেয়ার কাওসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক গণমাধ্যমে বলেন, কার্টনভর্তি ৪২ লাখ টাকা জব্দের ঘটনায় মামলা করেছে দুদক। ওই মামলায় সার্ভেয়ার কাওসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতির দায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Link copied!